পাকা জামের মধুর রসে মুখ রঙিন করার সময়টি তো এখনই। বাটি ভর্তি জাম মাখানো খেতে যতটাই সুস্বাদু, ততটাই স্বাস্থ্যকর।
মৌসুমি এই ফলটি থেকে পাওয়া যাবে কার্বোহাইড্রেট, আঁশ, ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন-বি১, বি২, বি৩, বি৬, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও পানি।
এবারে চলুন আপনাদের জানানো যাক জামের কয়েকটি দারুণ উপকারিতা
ডায়বেটিস প্রতিরোধের ক্ষেত্রে জাম অনেকটাই প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা জ্যামবোসিন (Jambosin) ও অ্যালকোলাইড রক্তের চিনির মাত্রাকে স্থিতিশীল রাখতে কাজ করে বিধায় রক্তে চিনির মাত্রা হুট করে বেড়ে যায় না।
ডায়বেটিসের পাশপাশি হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতেও কাজ করে জাম। এতে থাকা উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করে। প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ জাম থেকে পাওয়া যাবে ৫৫ মিলিগ্রাম পরিমাণ পটাশিয়াম। যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
একদম ফ্রেশ জামে থাকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রন। এই পুষ্টি উপাদানগুলো হাড়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ও উপকারী। পাশাপাশি দাঁতের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে ও দাঁতের ক্য্যাভেটিস প্রতিরোধেও কাজ করে এই উপাদানগুলো। যে কারণে পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা জামের মৌসুমে নারীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ জাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আমাদের সবার সুস্বাস্থ্যের জন্য যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়, অবশ্যই সেটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। জামের পুষ্টি গুণাগুণ ও ভিটামিন সমূহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
হুট করেই খাবারে অরুচি বা ক্ষুধামন্দার সমস্যা দেখা দেওয়া খুবই স্বাভাবিক সমস্যা। বিশেষত গরমে এই সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। জামের স্বাদ ক্ষুধাভাব তৈরিতে ও বৃদ্ধিতে কাজ করে।
মুখের ভেতরের ইনফেকশনজনিত ঘায়ের সমস্যা কমায় জাম। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমস্যা তৈরিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসে কাজ করে।
ক্রনিক কাশির সমস্যা মুখ, গলা ও শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা তৈরি করে। জামে থাকা প্রোটিন ও অন্যান্য উপকারী পুষ্টিগুণ কাশির সমস্যা প্রশমিত করতে উপকারী ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: ভিটামিন-সি পাওয়া যাবে অন্যান্য যে সকল ফলে
আরও পড়ুন: ব্যথা ও প্রদাহ কমাবে এই খাবারগুলো