এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় কমবেশি সবাইকেই। শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতাবোধের দরুন ঘুম আসতে সমস্যা হয়।
সেক্ষেত্রে কিছু খাদ্য উপাদান একেবারেই প্রাকৃতিকভাবে ঘুম আনতে কাজ করে। এই সকল খাদ্য উপাদানে থাকা পুষ্টি গুণ ঘুম তৈরি করতে ও ঘুম আনতে কাজ করে। আজকের ফিচার থেকে জেনে নিন চমৎকার কয়েকটি খাদ্য উপাদানের নাম, যা ঘুম আনতে কাজ করে।
পেস্তাবাদাম ঘুম আনতে চমৎকার কাজ করে। এতে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন-বি৬ ও ম্যাগনেসিয়াম এর পেছনে কাজ করে। তবে একবারে খুব বেশি পেস্তাবাদাম খেয়ে ফেলা যাবে না। খেতে হবে হাতে গুণে ৪-৫টি। নতুবা এতে থাকা উচ্চমাত্রার প্রোটিন উল্টো কাজ করবে।
শরীরে পানি শূন্যতা থেকেও স্লিপ ডিপ্রাইভেশনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এমন ফল নির্বাচন করতে হবে, যা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাওয়া যাবে। সে হিসেবে ক্যান্টালুপ চমৎকার একটি ফল।
হারবাল যেকোন ধরণের চায়েই থাকে ঘুম তৈরিকারী উপাদান। বিশেষত ক্যামোমাইল টিতে থাকে নার্ভ শান্তকারক উপাদান। ঘুমাতে যাওয়ার ঘন্টাখানেক আগে এক কাপ ক্যামোমাইল টি পানে মানসিক শান্তি তৈরি হবে। এতে করে ঘুম দ্রুত আসবে ও ভালো ঘুম হবে। এছাড়া আদা চাও প্রায় একই রকম ইতিবাচক প্রভাব রাখবে ঘুম আনার ক্ষেত্রে।
সকালের নাশতায় অনেকের প্রিয় খাবার ওটস। কিন্তু ওটসকে রাতের খাদ্য তালিকাতেও রাখা যেতে পারে ঘুম আনতে সহায়ক খাদ্য উপাদান হিসেবে। ওটস ইনস্যুলিন তৈরি ত্বরান্বিত করে, যা প্রাকৃতিকভাবে রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে করে ঘুমভাব তৈরি হয়। এছাড়া ওটস থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ মেলাটোনিন পাওয়া যাবে। যা শরীরকে রিল্যাক্স করতে কাজ করে এবং প্রশান্তিভাব আনে।
পেস্তাবাদাম যদি পছন্দ না হয়, তবে কাজুবাদাম খেতে পারবেন স্বাচ্ছন্দে। কাজুবাদামও পেস্তাবাদামের মতো ঘুম আনতে কার্যকরি। এক মুঠো (৫-৬টি) কাজুবাদাম খাওয়ার কিছুক্ষণের মাঝেই ঘুম আসতে কাজ করবে। কারণ এতে রয়েছে ট্রিপটোফেন ও ম্যাগনেশিয়াম। উভয় উপাদান প্রাকৃতিকভাবে নার্ভকে শান্ত করতে ও পেশীর টান কমাতে কাজ করে। ফলে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তিতে ঘুমভাব চলে আসে।
এবারে সবার পছন্দের একটি খাবারের কথা বলা যাক। বাদাম কিংবা ফলে যাদের অরুচি, ডার্ক চকলেট খেতে পারেন খুশি মনে। তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে। এতে থাকা সেরোটনিন একইসাথে শরীর ও মনকে রিল্যাক্স করতে কাজ করে বলে ঘুমভাব চলে আসে।
আরও পড়ুন: খেতে হবে ‘স্বাস্থ্যকর’ ফ্যাটযুক্ত খাবার
আরও পড়ুন: বুক জ্বালাপোড়া কমাবে যে খাবারগুলো