এই বদঅভ্যাসের দরুন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস, হুমকির মুখে পরে শারীরিক সুস্থতা। এমন ভয়াবহ তথ্য জেনেও ধূমপান থেকে বিরত থাকেন না ধূমপায়ীরা।
এবারে ধূমপান বিষয়ে আরও ভয়ানক তথ্য জানালো মার্কিন যুক্তরাজ্যের অ্যাসোসিয়েশন অব অপটোমেট্রিস্টস (AOP). ধূমপান থেকে শুধু ফুসফুসের সমস্যা নয়, দেখা দিতে পারে অন্ধত্বও।
গবেষকেরা জানাচ্ছে, দৃষ্টিশক্তি হারানোর ক্ষেত্রে অধূমপায়ীদের চাইতে দ্বিগুণ ঝুঁকিতে থাকে ধূমপায়ীরা। কারণ তামাকের ধোঁয়া চোখের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ধূমপানের ফলে ফুসফুসের ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি সরাসরি সম্পর্কিত। ফলে চোখের ক্ষতি হওয়ার বিষয়টিতে অনেকের মাথাতেই প্রশ্ন দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে জেনে রাখা প্রয়োজন, সিগারেটের উপস্থিত টক্সিক উপাদান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত হয়। এই উপাদানগুলো চোখে অস্বস্তি তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সিগারেটে থাকে ভারি ধাতু তথা লিড ও কপার। যা সরাসরি চোখের লেন্সকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং দৃষ্টিশক্তিকে ঘোলাটে করে দেয়।
এছাড়া ধূমপানের ফলে ডায়বেটিস সম্পর্তিক দৃষ্টিশক্তির সমস্যা তৈরি হয়। যার ফলে চোখের পেছনের অংশের (রেটিনা) রক্তনালীকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও বড় কথা হচ্ছে, ধূমপায়ীদের বয়সজনিত চোখের সমস্যা (ম্যাকুলার ডিজেনারেশন) অধূমপায়ীদের চেয়ে তিনগুণ দ্রুত দেখা দেয়। এই সমস্যার ফলে স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি বাধাগ্রস্ত হয় এবং কোন জিনিস সঠিকভাবে দেখতে সমস্যা হয়।
এখানেই শেষ নয়। হুট করে দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো সমস্যায় অধূমপায়ীদের চাইতে ১৬ গুণ বেশি ঝুঁকিতে থাকে ধূমপায়ীরা। অপটিক নিউরোপ্যাথি থেকে আকস্মিক দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যায়, যেখানে চোখে রক্ত প্রবাহ হুট করেই বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শনাক্ত হবে পারকিনসন্স রোগের পূর্ব লক্ষণ!
আরও পড়ুন: প্রযুক্তি যেভাবে স্বাস্থ্যহানি ঘটাচ্ছে!