সুস্থতায় ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সালাদ খাওয়ার অভ্যাস দারুণ। শরীরে জমে থাকা জেদি মেদ কমাতে ও পুষ্টির ঘাটতি পূরণে বিভিন্ন সবজি ও ফলের তৈরি সালাদকে রাখতে হবে খাবারের প্লেটে।
অলিভ অয়েল, গুঁড়া মরিচের গুঁড়া ও চিমটিখানিক লবণে পছন্দসই সবজি ও ফলকে মাখিয়ে নিয়েই তৈরি করে নেওয়া যায় সালাদ। ভিন্ন ভিন্ন রেসিপিতে ব্যতিক্রমীভাবে সালাদ তৈরি করা কঠিন কিছু নয় মোটেও। অনভ্যস্ততার দরুন প্রথম প্রথম সালাদে অরুচি কাজ করলেও, কিছুদিনেই অভ্যাস হয়ে যাবে। আজকের ফিচারে জানানো হলো, যে ছয়টি চমৎকার কারণে সালাদ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন আপনার।
সাধারণত প্রায়শ এমনটা হয়, খাবার খাওয়ার দুই ঘণ্টা পরেই আবারো ক্ষুধাভাব দেখা দেয়। সালাদ খাওয়ার ফলে এই সমস্যাটি একেবারেই দেখা দেবে না। সালাদ মানেই সবজি ও ফল। এ ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ পাওয়া যায়। যা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখতে কাজ করবে।
বেশিভার সবজি ও ফলেই থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও জলীয় অংশ। ফলে এই দুই উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি সালাদ নিয়মিত খাওয়া হলে শরীর তার প্রয়োজনীয় পানির বড় একটা অংশ পূরণ করবে সালাদ থেকেই। এতে করে গরম আবহাওয়ায় অথবা শারীরিক কসরতে ঘাম বেশি হলেও পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার সম্ভবনা থাকবে না একদম।
এটা নতুন কোন তথ্য নয় যে শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন ভিটামিন ও মিনারেলযুক্ত উপকারী খাদ্য উপাদান। ভিটামিন, মিনারেল ও বিভিন্ন ধরনের এনজাইম পাওয়া যাবে যে সকল সবজি ও ফল থেকে, তা যদি খাবারের মেন্যুতে থাকে, তবে ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না মোটেও।
ব্রকলি, অ্যাভোকাডো, ক্যাপসিকাম, বিভিন্ন ধরনের বেরি সমৃদ্ধ সালাদে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমূহ। এমন ফল ও সবজিতে তৈরি সালাদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে চমৎকার অবদান রাখে।
সালাদ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ওয়ালনাট অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল, অলিভ অয়েল অথবা পাম্পকিন সিড অয়েল। এই তেলগুলোতে থাকে ভরপুর ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড। যা একইসাথে সালাদের স্বাদ বাড়ায় ও সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভূমিকা রাখে।
একদম প্রথম দিকেই বলা হয়েছে সবজি ও ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণ দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় আঁশ। যা পাকলস্থলি ও পুরো পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কাজ করে।
আরও পড়ুন: সকালে খালি পেটে কলা খেলে কী হয়?