কেননা এটি রক্তে চিনির মাত্রা পাশাপাশি রক্তচাপের উপরেও প্রভাব ফেলে থাকে।
অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার কখনোই কারোর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। প্রতিটি ব্যক্তির তেলযুক্ত খাবার খাওয়ার আগে ভাবা প্রয়োজন, যা খাওয়া হচ্ছে তা স্বাস্থ্যের উপরে কতটা প্রভাব ফেলবে। কিন্তু প্রায় সকল ধরনের খাবার তৈরিতেই কমবেশি তেলের ব্যবহার প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে তেলের বিকল্প উপাদান হিসেবে কী ব্যবহার করা যায়?
ঘি! এতে রয়েছে উন্নত মানের ফ্যাট। বিশেষজ্ঞরাও জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যের জন্য এটি ভালো। মেডিক্যালে ডায়বেটিসের জন্য পরামর্শ অনুযায়ি খাদ্যের মধ্যে অনেক আগে থেকেই ঘি ব্যবহার রয়েছে।
মাইক্রবায়োটিক পুষ্টিবিদ ও স্বাস্থ্যের কোচ শিল্পা আরোরা এর মতে, ঘি হচ্ছে ডায়বেটিসের ঔষধ। ঘিয়ে উপস্থিত ফ্যাটি এসিড শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ঘি কেন ভালো খাদ্য উপাদান? কয়েকটি কারণ এখানে তুলে ধরা হলো।
১. পুষ্টিসমৃদ্ধ ফ্যাটের মূল উৎস হচ্ছে দেশী ঘি। ঘি দিয়ে তৈরিকৃত যে সকল খাদ্য খাওয়া হয় তা থেকে পুষ্টি শোষণ করে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ও ডায়বেটিস ঠিক রাখতে কাজ করে।
২. ঘিতে লাইনোলেইক (Linoleic) এসিড রয়েছে, যা ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীর নানান রকম কার্ডিওভাস্কুলার রোগ ও জটিল সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. ঘিয়ে রয়েছে ভিটামিন- কে ও অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। সাধারণত ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়।
৪. প্রাকৃতিক ঘি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমান কমাতে কাজ করে।
৫. কার্বোহাইড্রেট ও হাই গ্রাইসেমিক ইনডেক্স জাতীয় খাবার তথা- সাদা রুটি, পরোটা, ভাত ইত্যাদিতে ঘি মিশিয়ে খেলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রা কমবে।
৬. ঘি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
ঘি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য উপকারী খাদ্য উপাদান বলে, প্রচুর পরিমাণে খাওয়া যাবে না। নির্দিষ্ট পরিমাণ রেখে প্রতিদিন খেতে হবে। এছাড়া ডায়বেটিস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে এবং অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, ঘি যেন ঘরের তৈরি হয়, দোকান থেকে কেনা ঘি পরিহার করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আরও পড়ুন: ঘুম আনতে সাহায্য করবে এই খাবারগুলো
আরও পড়ুন: বুক জ্বালাপোড়া কমাবে যে খাবারগুলো