গরমে ঘামাচিকে দূরে রাখতে কী করতে হবে?

পরামর্শ, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-08-24 03:57:25

আবহাওয়ার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলেই দেখা দিতে শুরু করে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা, যার মাঝে থাকে ত্বকের সমস্যাও।

ঘামাচি তেমনই গরমকালীন একটা ত্বকের সমস্যা। গরমে ত্বকে লালচে র‍্যাশ ওঠাকেই স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ঘামাচি ওঠা। এই র‍্যাশগুলো ত্বকে চুলকানির উপদ্রব তৈরি করে এবং বেশ জ্বালাপোড়া হয় ত্বকে।

কেন ঘামচি দেখা দেয়?

শরীরের ঘর্মগ্রন্থিগুলো বন্ধ হয়ে গেলে ঘামাচি দেখা দেয়। অতিরিক্ত ঘাম হলে শরীরের কিছু অংশে ত্বকের নিচের ঘাম আটকে থাকে, যা থেকে ত্বকের সমস্যা তথা র‍্যাশ বা ঘামাচি তৈরি হয়। আক্রান্ত স্থানের ত্বক লালচে হয়ে ছোট ছোট র‍্যাশ দেখে দেয় এবং ঘামচির সমস্যাটি শিশু থেকে শুরু করে পূর্ণবয়স্ক সবারই হতে পারে।

ঘামাচি সাধারণত ঘাড়, পিঠ, গলার ভাঁজে, হাতের ভাঁজে ও দুই পায়ের মধ্যবর্তী অংশে দেখা দেয়। বলা যেতে পারে, শরীরের যে অংশগুলোতে ঘাম জমে থাকে এবং সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে না, সে অংশগুলোতেই ঘামাচির সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া অতিরিক্ত রোদের আলোর সংস্পর্শে আসলে শরীরের অন্যান্য অংশেও ঘামাচি দেখা দিতে পারে।

ঘামাচি প্রতিরোধে কী করতে হবে?

কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করতে পারলেই ঘামাচি থেকে নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব হবে। এছাড়া ঘামাচির প্রকোপ শিশুদের মাঝে যেহেতু বেশি দেখা দেয়, সঠিক যত্ন ও খেয়াল রাখা হলে শিশুদের ঘামাচির সমস্যাটি কমে যাবে। সেক্ষেত্রে জেনে রাখুন একদম সহজ কিছু নিয়ম, যা মেনে চললে ঘামাচির উপদ্রব কম দেখা দেবে।

১. খুব বেশি গরম ও আর্দ্রতাপূর্ণ স্থান এড়িয়ে যেতে হবে এবং যতটা সম্ভব বাইরে সরাসরি রোদের আলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। কোন কারণ ঘাম তুলনামূলক বেশি হলে দ্রুত ফ্যানের নিচে বাতাসযুক্ত স্থানে বসতে হবে এবং শরীরের ঘাম শুকানোর চেষ্টা করতে হবে। এ সময়ে সাধারণ তাপমাত্রার পানি পান সবচেয়ে ভালো কাজ করবে।

২. গরম আবহাওয়ায় অন্যান্য যেকোন ধরনের তন্তুর চেয়ে সুতি তন্তুর পোশাক পরা সবচেয়ে বেশি উপকারী। সুতি কাপড় দ্রুত ঘাম শোষণ করে ও শুকিয়ে ফেলে এবং সুতি কাপড়ের ভেতর থেকে খুব ভালোভাবে বাতাস চলাচল করতে পারে। যদিও সিল্ক, লিলেন, জর্জেট কাপড়গুলো আভিজাত্যভাব আনে, এই গরমে ঘামাচিকে দূরে রাখতে চাইলে সুতি তন্তুর পোশাকই বেছে নিতে হবে।

৩. বাইরে কাজে বের হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাথে ফেসিয়াল টিস্যু ও পকেট তোয়ালে রাখার চেষ্টা করতে হবে। গরমে ঘাম হলেই সাথে সাথে ঘাম মুছে ফেলতে হবে এবং শরীর ঠাণ্ডা করা ও শুকানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, ঘামে ত্বক যেন ১৫-২০ মিনিটের বেশি সময় আর্দ্র না থাকে।

৪. গরমে সবচেয়ে উপকার দেয় বেবি পাউডার। শিশুদের জন্য তো বটেই, বড়দের ক্ষেত্রেও বেবি পাউডার ত্বকে আরামদায়ক ও শীতল অনুভূতি তৈরি করে। যাদের শরীর কিছুটা ভারি গড়নের তাদের জন্য বেবি পাউডার খুব ভালো কাজ করবে।

৫. বাইরে থেকে ফিরেই শরীরে পানিতে ধুয়ে ফেলা অথবা ঠাণ্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছে নেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে করে ত্বকের উপরিভাগে জমে থাকা ঘাম ও ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং ঘামাচির উপদ্রব দেখা দেবে না।

আরও পড়ুন: শারীরিক সুস্থতা পেতে গড়ুন ১০ অভ্যাস

আরও পড়ুন: পানিশূন্যতা রোধে কী করা প্রয়োজন?

এ সম্পর্কিত আরও খবর