অনেকে আবার মেকআপ তুলে ঘুমাতে যাওয়ার সময়টুকুও পান না। এছাড়া আবহাওয়া ও পরিবেশ দূষণ তো আছেই। এই সকল কিছু মিলিয়ে ত্বকের গভীরে ময়লা জমতে থাকে প্রতিনিয়ত। ফলস্বরূপ দেখা দেয় ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা। সেক্ষেত্রে ত্বককে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত এক্সফলিয়েট করা প্রয়োজন।
প্রাকৃতিক দানাদার উপাদান অথবা কেমিক্যালযুক্ত উপাদান ব্যবহারে ত্বকের মরা চামড়াসহ ময়লা দূর করার প্রক্রিয়াকেই বলা হয়ে থাকে এক্সফলিয়েশন। চিনি, কফি, ময়দা, বিভিন্ন ধরনের ফল তথা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে ত্বক এক্সফলিয়েট করাই সবচেয়ে শ্রেয়।
এখানে বলতেই পারেন, যারা নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা করে না, তাদের জন্যেই এক্সফলিয়েশন প্রয়োজন। কিন্তু বিষয়টা আসলে সেটা নয় মোটেও। যারা নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা করেন, তাদেরও এক্সফলিয়েশন করা প্রয়োজন। কারণ এই একটি পরিচর্যার রয়েছে বেশ কিছু চমৎকার উপকারিতা ও গুণাগুণ। এই উপকারিতাগুলো সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন বিধায় আজকের ফিচারে জানানো হলো সহজ এই কাজটির কয়েকটি ইতিবাচক দিক।
১. এক্সফলিয়েট করার ফলে খুব সহজেই ত্বকের রোমকূপগুলো খুলে যায়। কারণ এত রোমকূপের ভেতরে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা বের হয় এবং ত্বকের উপরিভাগের অংশে থাকা মরা চামড়া দূর হয়। এতে করে ত্বক খুব গভীর থেকে পরিষ্কার হয় ও অক্সিজেন পায়।
২. ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক ধরনের পণ্য ব্যবহার করেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়ার পেছনে থাকে, ত্বকের গভীরে সেই পণ্যের উপকারিতা না পৌঁছাতে পারার সমস্যাটি। ত্বকের রোমকূপ ব্লক হয়ে থাকার ফলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। এক্সফলিয়েশনের ফলে ত্বকের রোমকূপ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার দরুন, বিভিন্ন ধরনের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের গুণ সহজেই ত্বকের গভীরে পৌছাতে পারবে এবং ত্বক তার প্রয়োজনীয় উপকারিতা পাবে।
৩. ঘুম থেকে উঠেই দেখলেন চিবুকের কাছে বেশ কয়েকটি পিম্পলের আনাগোনা। এমনটা তখনই হয়, যখন ত্বক তার প্রয়োজনীয় মাত্রায় পরিছন্নতা পায় না। ত্বকে রোমকূপে মরা চামড়া, সিবাম (ত্বক থেকে নিঃসৃত তেল) ও ময়লা জমে এই পিম্পলের আবির্ভাহ ঘটে। এক্সফলিয়েশন ত্বককে পরিপূর্ণভাবে পরিষ্কার করে তোলে। যার ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত পিম্পল দেখা দেওয়ার কোন সম্ভাবনাই থাকে না।
৪. মুখের ত্বকের উপরে হাত বুলিয়ে নিশ্চয় খেয়াল করে দেখেছেন যে, ত্বক বেশ অনেকটা অমসৃন। ত্বকের এখানে সেখানে র্যাশ, ছোট গুঁড়ি আকৃতির পিম্পল, ঘসঘসে ভাব রয়েছে। বলাই বাহুল্য যে এক্সফলিয়েশনের ফলে এ সমস্যাগুলো একদম চলে যাবে।
৫. এক্সফলিয়েশনের জন্য ত্বক ম্যাসাজ করতে হয়। এতে করে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং এতে করে সহজেই ত্বকের টেক্সচার ভালো হয়। ত্বকে তারুণ্য দেখা দেয় এবং ত্বক টানটান থাকে। এছাড়া নিয়মিত এক্সফলিয়েশনের ফলে ত্বকে বলীরেখা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায় অনেকখানি।
আরও পড়ুন: তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ঘরে তৈরি দুই ময়েশ্চারাইজার
আরও পড়ুন: ত্বকের ফাটা দাগ কমাতে ক্যাস্টর অয়েল