এটা নতুন কোন বিষয় নয়। একইসাথে এটাও নতুন কোন তথ্য নয় যে- অংক করা, ওয়ার্ড পাজল বা পাজল গেম খেলা, নতুন ভাষা শেখার মতো কাজগুলো মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তাকে প্রখর করতে অবদান রাখে। তবে এখন যদি আপনাকে জানানো হয় যে- নতুন খাবার খাওয়া, নতুন কোন সুবাসের সাথে পরিচিত হওয়া কিংবা চোখ বন্ধ করে গোসল করার মতো সামান্য বিষয়গুলোও আপনার বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে অবদান রাখে, তবে অবাক হতেই হবে।
অবাক হওয়ার মতো তথ্য হলেও এ বিষয়গুলো সঠিক ও সত্য। চলুন জানানো যাক এমন আরও কয়েকটি মজার ও অদ্ভুত কাজের কথা, যা আপনার বুদ্ধিমত্তার বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
ডান হাতে ব্রাশ ধরে দাঁত মাজা হয় সাধারণত। এই অভ্যাসে পরিবর্তন এনে অন্য হাতে ব্রাশ ধরে দাঁত মাজতে হবে। গবেষকেরা জানাচ্ছে, নন-ডমিনেন্ট হ্যান্ডের ব্যবহার করটেক্সে বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসে। শুধু দাঁত মাজা নয়, টুথপেস্টের টিউবও ভিন্ন হাত দিয়ে খোলার মতো কাজগুলো মস্তিষ্কে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।
হাতের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে ত্বকের টেক্সচার ও তাপমাত্রা স্পর্শের মাধ্যমে ইন্দ্রিয় অনুভূতি তৈরি করে মস্তিষ্কে পৌঁছে দেবে। যা একেবারেই ভিন্ন একটি অভিজ্ঞতা। এতে করে মস্তিষ্ক নতুনভাবে কাজ করবে।
ড্রেসিং টেবিলে থাকা পরিচিত ফটোফ্রেম কিংবা বুক শেলফের কয়েকটি বইকে উল্টে রাখুন। এতে করে যতবার এই জিনিসগুলোর দিকে চোখ যাবে, মস্তিষ্কের ডান পাশের অংশটিতে বাড়তি কাজ শুরু হবে। বস্তুটির রঙ, আকার ও বস্তুটির সাথে আপনার স্মৃতি নিয়ে মস্তিষ্ক ততক্ষণে কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। যা অনেকটা পাজল মেলানোর মতো কাজ করে।
খাবার টেবিল পরিবারের সবার নিজস্ব স্থান নির্ধারণ করাই থাকে। এবারে সে নিয়মে ব্যতিক্রম আনুন। প্রতি দুই দিন অন্তর অন্তত একবারের জন্য ভিন্ন স্থানের চেয়ারে খেতে বসুন। এতে করে মস্তিষ্ক নতুনভাবে ঘরের আদল ও কোনকে আবিষ্কার করবে। টেবিলের যে পাশে লবণদানি পাওয়া যেত হাত বাড়ালেই, সে পাশে লবণদানি থাকবে না। লবণদানি খোঁজার জন্য টেবিলে ইতিউতি তাকানো ও খোঁজ করার মাধ্যমেও মস্তিষ্ক কাজ করবে।
সুমিষ্ট সুবাস মনকে চনচনে করে দেয়। কফির ঘ্রাণের কথাই ধরুন না কেন। সকালে কফির পেয়ালা চুমুক দিতে না পারলেও, কফির ঘ্রাণ মনকে ভালো করে দেয়। ঠিক একইভাবে ল্যাভেন্ডার, ভ্যানিলা, সাইট্রাস বা পিপারমিন্টের মিষ্টি ঘ্রাণ মস্তিষ্ককে ভিন্নভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
নতুন ও অপরিচিত খাবারের স্বাদ ও গন্ধ মস্তিষ্ককে নতুনভাবে কাজ করায়, নতুন স্বাদ ও গন্ধের সাথে পরিচয় করায়। আমাদের মস্তিষ্কের অলফ্যাক্টরি সিস্টেম লাখ লাখ গন্ধের মাঝের নতুন গন্ধকে শনাক্ত করতে কাজ করে।
আপনি যদি বইপড়ুয়া হয়ে থাকেন তবে নিশ্চয় নিজ মনে বই পড়া হয় আপনার। এখন থেকে চেষ্টা করুন জোরে জোরে রিডিং পড়ার মতো করে বই পড়তে। নিঃশব্দে বই পড়া ও সশব্দে বই পড়ার মাঝে তফাৎ আছে, ফলে এ দুইটি ভিন্ন কাজে মস্তিষ্ক ভিন্নভাবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: শনাক্ত হবে পারকিনসন্স রোগের পূর্ব লক্ষণ!
আরও পড়ুন: আয়ুর্বেদে বাড়বে স্মৃতিশক্তি