দিনের শুরু থেকেই শুরু হয় হাজারো কাজের ব্যস্ততা। তার সাথে পাল্লা দিয়ে সমান তালে পা মিলিয়ে চলতে গিয়ে, প্রায়শ নাভিশ্বাস উঠে যায়। ক্লান্তি চলে আসে মনে ও শরীরে।
কিন্তু ক্লান্তির দোহায় দিয়ে থেমে যাওয়া তো সম্ভব নয়। আবার ক্লান্তি নিয়ে কাজ করলেও পরিপূর্ণভাবে কাজে মন দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ সময়ে মানসিক প্রশান্তির জন্য খোঁজ করাই হবে সবচেয়ে উপযুক্ত ও সঠিক উপায়। কীভাবে প্রশান্তি পাওয়া যাবে? দেখে নিন আজকের ফিচারটি থেকে।
একটু অবাক হওয়ার মতো পদ্ধতি হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা খুব কার্যকর। শব্দহীন স্থানে একা আরামদায়ক কোন চেয়ার কিংবা সোফায় কিছুক্ষণ বসে থাকতে হবে, বসে থাকার সময় চোখ বন্ধ করে কয়েকবার জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে হবে ও ছাড়তে হবে। এতে করে অশান্তি কিংবা অস্থিরতা অনেকখানিই কমে আসবে। সম্ভব হলে বসে থাকার সময় ইয়ারফোনে খুব ধীর লয়ের গানও শুনতে পারেন।
মানসিক চাপের সবচেয়ে বড় অ্যান্টিডোট হিসেবে ধরা হয় প্রিয় ও ভালোবাসার কাউকে জড়িয়ে ধরাকে। সেটা হতে পারে আপনার পরিবারের কেউ, কাছের বন্ধু কিংবা প্রিয় সহকর্মীও। প্রিয় মানুষকে জড়িয়ে ধরার ফলে যে ভালোলাগার অনুভূতি তৈরি হয়, তা থেকে শরীরে অক্সিটোসিন নামক হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়।
গবেষণা মতে, হাগ (Hug) করা বা জড়িয়ে ধরার ফলে রক্তচাপের সাথে দুশ্চিন্তার মাত্রা ও মানসিক অস্থিরতা কমে আসে, যদি জড়িয়ে ধরা ব্যক্তিটি প্রিয় ও কাছের মানুষ হয়ে থাকে।
যেকোন কিছু গোছানো ও সাজানো মনকে তাৎক্ষণিকভাবে শান্ত করে এবং ক্লান্তি দূর করে। রুটিন প্যাটার্ন বা সাজানোর মাধ্যমে মনোযোগ একীভূত হয় একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রে। যা অস্থিরতাকে কমাতে কাজ করে। সাজানোর ক্ষেত্রে হাতের কাছে থাকা সাধারণ জিনিসপত্র বা কাপড়চোপর হতে পারে ভালো বস্তু। এছাড়া অফিসের ডেস্কের জিনিসপত্র গোছালেও ভালো বোধ হবে।
শরীরচর্চার ফলে হার্টবীট বৃদ্ধি পায় এবং রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়। যার দরুন কিছুক্ষণ শরীরচর্চা করার পরবর্তী সময়ে শরীর ও মনে অনেকখানি প্রশান্তিভাবে দেখা দেয়। যদি প্রতিদিন শরীরচর্চা করা সম্ভব না হয়, তবে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন শরীরচর্চা করার অভ্যাসটি অবশ্যই চালু রাখতে হবে।
যাদের পোষা প্রাণী আছে, তারা এই বিষয়টি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। পোষা প্রিয় প্রাণীটির সাথে আধা ঘন্টা সময় কাটালেও মন ভালো হয়ে যায়, বিষণ্ণতা দূর হয়, ক্লান্তি ও মানসিক চাপ কমে আসে। পোষা প্রাণীর উপস্থিতি, তার সাথে খেলাধুলা, তার শরীরের উষ্ণতা খুব দ্রুত মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: রৌদ্রজ্জ্বল দিনের শুরুটা হোক সচেতনতায়
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে দম ফুরিয়ে যাচ্ছে চার কারণে!