প্রতিদিন অন্তত ৫০-১০০টি চুল পড়াকে স্বাভাবিক মাত্রা হিসেবে ধরা হয়। তবে এর বেশি হলেই দেখা দেয় সমস্যা এবং একটি নির্দিষ্ট সময় ও বয়সের পর এই সমস্যাটি কমবেশি প্রতিটি পুরুষ ও নারীর হয়ে থাকে। অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যাটি হতে পারে শারীরিক সমস্যার কারণে, অথবা মানসিক চাপের কারণেও।
মাত্রাতিরিক্ত চুল ঝরে যাওয়ার পেছনে থাকে বেশ কয়েকটি কারণ। ব্যক্তি ভেদে একেকজনের জন্য একেকটি কারণ দেখা দিতে পারে। মূলত ছয়টি প্রধান কারণে নারী ও পুরুষের অধিক চুল পড়ার সমস্যা তৈরি হয়।
পুরুষদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি দেখা দেয় মাথায় টাক পড়ার সূক্ষ্ম আউটলাইন সমেত চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে।
নারীদের মেনোপজ পরবর্তী সময়ে এই সমস্যাটি দেখা দেওয়া শুরু করে এবং এটা বেশ প্রচলিত একটি সমস্যা।
গর্ভাবস্থা, সন্তান জন্মদান পরবর্তী সময় অথবা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণের ফলে হরমোনে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। যা চুল পড়ার হারকে ত্বরান্বিত করে।
প্রোটিন অথবা আয়রন অথবা উভয়ের অভাবে চুল পড়ার হার বেড়ে যায়।
থাইরয়েডের সমস্যা অথবা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রম (PCOS) হলো প্রধান দুইটি শারীরিক সমস্যা, যার জন্য খুব দ্রুত চুল পাতলা হয়ে যায়। এছাড়া হাইপোথায়ারডিজমের জন্য চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যাটি দেখা দেয়।
নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি ব্যাপক আকারে লক্ষণীয়। মাথার কোন একটি অংশ এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে উক্ত স্থানের সব চুল পড়ে টাক দেখা দেয়।
বেশ কয়েকভাবে চুল পড়ার সমস্যাটি সমাধান করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রথমেই চিহ্নিত করতে হবে, ঠিক কোন কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিয়েছে। সমস্যা নির্ধারণ করতে পারলে সমাধানের পথে এগুনো সহজ হয়ে যায় অনেকখানি।
মূলত অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় প্রাথমিক সমাধান হিসেবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাবারের অভাবে চুলের উপরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে। এছাড়া সঠিক ও নিয়মিত যত্নের কোন বিকল্প নেই চুলকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে।
তবে ক্ষেত্র বিশেষে চুল ও মাথার ত্বকের সমস্যার উপর নির্ভর করে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা ওষুধ সেবনের পরামর্শও দিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: চোখের ওপর চাপ কমাবেন কীভাবে?
আরও পড়ুন: ছয় কারণে সখ্যতা গড়ুন সালাদের সাথে