ব্যস্ত জীবনের ভেতর নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করা দারুণ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। প্রতিদিনের নিয়মমাফিক ছুটে চলার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে বেগ পেতে হয় অনেক ক্ষেত্রেই। কাজের ব্যস্ততার দরুন অপ্রাতুলতা দেখা দেয় নিজস্ব সময়েও। নিজের পছন্দের কাজ, ভালোলাগার কাজগুলো হারিয়ে যায় জীবন থেকে। সেই সাথে হারিয়ে যায় ভ্রমণ করার পরিকল্পনা ও ইচ্ছা।
অথচ আমরা জানিই না যে, সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে ভ্রমণ কতখানি গুরুত্ব বহন করে! কাজের চাপ ও ব্যস্ততা থেকে সময়ে সময়ে বিরতি নেওয়া প্রয়োজন শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য। এই বিরতি বলতে একদম ‘সম্পূর্ণ’ বিরতিই বোঝানো হয়েছে। অফিসে উপস্থিত না হয়ে অন্য কোথাও বেড়াতে গিয়েও যদি ল্যাপটপে অফিসের কাজ নিয়ে বসে থাকেন, তবে সেটাকে বিরতি বলা যাবে না।
পরিপূর্ণভাবে বিরতি নিয়ে, পরিকল্পনা করে বেশ কয়েকদিনের জন্য বেরিয়ে পড়তে হবে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। কারণ ভ্রমণের রয়েছে দারুণ চমকপ্রদ কিছু উপকার।
স্বাস্থ্যকর ও আনন্দপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য ভ্রমণের কোন বিকল্প নেই একেবারেই। কি সেই চমকপ্রদ উপকার? জেনে নিন আজকের ফিচার থেকে।
১. স্ট্রেস কমানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরি উপায় হলো ভ্রমণ করা। শারীরিক ও মানসিক অবসাদ ও স্ট্রেস দূর করার ক্ষেত্রে খোলামেলা কোন স্থানে ভ্রমণের বিকল্প নেই।
২. ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের ব্যস্ততার জন্য ঘুমের সময় ও নিয়মে গোলমাল দেখা দিয়ে থাকে। ভ্রমণের ফলে সেই অনিয়ম অনেকটা নিয়মের মাঝে চলে আসে। এতে ভালো ঘুম হয়। যা মন ও দেহকে পুনর্জীবিত করতে সাহায্য করে।
৩. গবেষকেরা সুপারিশ করেন, ভ্রমণের ফলে হৃদরোগ দেখা দেবার সম্ভবনা ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি উভয়ই কমে যায়। যার ফলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে এবং শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেবার সম্ভবনা কমে যায় অনেকটা।
৪. ভ্রমণের ফলে শারীরিক কার্যকলাপ বেশি হয়। এতে করে হাড়ের সংযোগস্থল ও পেশীতে নড়াচড়া হয়। যা অঙ্গের মাঝে ফ্লেক্সিবিলিটি তৈরি করে। এছাড়াও দীর্ঘ সময় একইভাবে বসে কাজ করার ফলে ঘাড় ও পিঠে ব্যথাভাব দেখা দিয়ে থাকে। যা দূর করতেও সাহায্য করে থাকে ভ্রমণ।
৫. ভ্রমণের ফলে বিভিন্ন এলাকা, অঞ্চল ও দেশের বিভিন্ন প্রকৃতির মানুষের সান্নিধ্যে আসা সম্ভব হয়। যা মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে। একইসাথে যেকোন ধরণের নেতিবাচক মনোভাব ও দুশ্চিন্তা দূর করার ক্ষেত্রে ভ্রমণ অদ্বিতীয়।
কিছুদিন পরেই শুরু হবে ঈদের ছুটি। চাইলে এই ছুটিতে সপরিবারে অথবা বন্ধুদের সাথে ভ্রমণের জন্য বেরিয়ে পড়তে পারেন। ভ্রমণের জন্য খুব বেশি দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কাছে কিন্তু অপরিচিত ও নতুন কোন স্থান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।