ছেলে-বুড়ো সকলের অন্যতম পছন্দের খাবার হলো চিকেন ফ্রাই। গরম মুচমুচে চিকেন ফ্রাইয়ের পাশে অন্য সকল খাবার নস্যি। কিন্তু চিকেন ফ্রাই তৈরি করা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। বেশ অনেকটা সময় ও প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় এটি তৈরির জন্য। আর তাইতো চিকেন ফ্রাইয়ের স্বাদে মাত্র তিরিশ মিনিট সময়ের মাঝেই তৈরি করে ফেলা যাবে চিকেন পপকর্ন।
ছোট ছোট পপকর্নের মতো দেখতে বলেই এই খাবারটির নাম রাখা হয়েছে চিকেন পপকর্ন। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সহজলভ্য এই আইটেমটি। তবে পরিমাণের তুলনায় বেশ চড়া দামেই বিক্রি করা হয় চিকেন পপকর্ন। অথচ ঘরেই খুব অল্প সময়ের মাঝে তৈরি করা যাবে মজাদার এই খাবারটি।
চাইলে আজকের ইফতারিতেও রাখতে পারেন চটপটে চিকেন পপকর্ন। এবার দেখে নিন রেসিপিটি।
উপাদান সমূহ:
১. ৩ কাপ ময়দা।
২. ২ টি ডিম।
৩. ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়া।
৪. ১ চা চামচ গার্লিক পাউডার।
৫. ২ চা চামচ অনিয়ন পাউডার।
৬. ১/৪ চামচ কালো গোলমরিচের গুঁড়া।
৭. ২ টেবিল চামচ লেবুর রস।
৮. তেল (পরিমাণমতো)।
৯. লবণ (পরিমাণমতো)।
১০. চামড়া ও হাড়বিহীন মুরগির বুকের মাংস।
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে একটি পাত্রে ময়দার সাথে গার্লিক পাউডার, অনিয়ন পাউডার, গোলমরিচ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া ও পরিমাণমতো লবণ মেশাতে হবে।
২. অন্য একটি পাত্রে ডিম ও লেবুর রস একসাথে ফেটিয়ে নিতে হবে।
৩. এবার কড়াইয়ে পরিমাণমতো তেল দিয়ে গরম করতে হবে। তেল পরিমাণে একটু বেশি দিতে হবে। কারণ ডুবো তেলে ভাজলে মুচমুচে হয় পপকর্ন।
৪. মুরগির মাংস ছোট ছোট কিউব (চারকোনা) করে কেটে নিতে হবে এবং টিস্যু দিয়ে মাংসের গায়ে লেগে থাকা বাড়তি পানি শুকিয়ে নিতে হবে।
৫. ছোট টুকরা করে কাটা মুরগির মাংস এক এক করে প্রথমে ময়দার মিশ্রণে মাখাতে হবে। এরপর ডিমের ভেতর মাখিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ময়দার মিশ্রণে মাখাতে হবে।
৬. তেল ভালোমতো গরম হয়েছে কিনা সেটা বোঝার জন্য অল্প পরিমানে ময়দা তেলে দিয়ে দেখে নিতে হবে। তেল ভালোমতো গরম হলে তাতে ময়দা ও ডিম মাখানো মুরগির টুকরোগুলো এক এক করে দিয়ে দিতে হবে। মাংস যেন সিদ্ধ হয়, সেজন্য মাঝারি তাপে ভাজতে হবে। মুরগির টুকরোগুলো লালচে বাদামী বর্ণ ধারণ করলে শুকনো পাত্রে চিকেন টিস্যুর উপর নামিয়ে নিতে হবে।
মুরগিতে লেগে থাকা বাড়তি তেল টিস্যু শুষে নিলে অন্য একটা পাত্রে সস ও মেনয়েজসহ গরম গরম পরিবেশন করতে হবে মুচমুচে মজাদার চিকেন পপকর্ন।
আরো জানুন:
১. মাংসের টুকরার গায়ে লেগে থাকা পানি অবশ্যই শুকিয়ে নিতে হবে।
২. গার্লিক পাউডারের পরিবর্তে রসুন বাটা ও অনিয়ন পাউডারের পরিবর্তে পেঁয়াজ বাটা ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে স্বাদে তারতম্য না হলেও, মুচমুচে ভাবটা নষ্ট হয়ে যায়।
৩. চাইলে মরিচ গুঁড়ার সাথে আধা চামচ হলুদ গুঁড়া ও গরম মশলাও ব্যবহার করা যাবে।