একেক ধরনের ত্বকের জন্য যত্নের ধরনেও আসে ভিন্নতা। প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারে ত্বকের যত্ন নেওয়া থেকে শুরু করে, বিভিন্ন ধরনের দোকানজাত পণ্যের ব্যবহারেও ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। কিন্তু আজকে ত্বকের পরিচর্যায় আপনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে একেবারেই নতুন একটি ধারণার সাথে। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্কিন ফাস্টিং’।
প্রতিদিনের স্কিন কেয়ার রুটিনের আওতায় যে সকল পণ্য ও উপাদান আমরা নিয়মিত ব্যবহার করি সেগুলো ব্যবহার থেকে দূরে থেকে ত্বককে ‘নিঃশ্বাস’ নিতে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে স্কিন ফাস্টিং। জাপানের জনপ্রিয় ও সুপরিচিত বিউটি ব্র্যান্ড মিরাই ক্লিনিক্যাল এর উদ্ভাবিত ত্বকের এই পরিচর্যার ধরণটি ইতোমধ্যেই বেশ ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের মূলমন্ত্র হচ্ছে, ‘লেস ইজ মোর’।
এই পদ্ধতিতে কয়েকদিনের জন্য ত্বকের পরিচর্যা সংক্রান্ত কোন পণ্য ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি ময়েশ্চারাইজারকেও বাদ দিয়ে দিতে হবে। ত্বককে সম্পূর্ণ নিজের মতো করে কাজ করতে দিতে হবে। ফেস ওয়াশ, সানস্ক্রিন, ময়েশ্চারাইজার, টোনার, সিরাম কিংবা মেকআপ পণ্যের কোনকিছুই থাকবে না ব্যবহারের আওতায়। এতে করে ত্বক নিজের মতো করে আরোগ্য লাভ করবে ও প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেবে।
স্কিন ফাস্টিং এর সবচেয়ে দারুণ বিষয়টি হলো- নিয়মিত কেমিক্যাল পণ্য ব্যবহারে আমাদের ত্বক অনেকটাই সে সকল পণ্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। স্কিন ফাস্টিং এর দরুন সেই নির্ভরশীলতার মাত্রা কমে যায়। ত্বক নিজের মতো করে সুস্থ ও ভালো থাকা শুরু করে।
থিওরি অনুযায়ী স্কিন ফাস্টিং খুব চমৎকার একটি স্কিন কেয়ার রুটিন। তবে আমাদের দেশের পরিস্থিতিতে প্র্যাক্টিক্যালি স্কিন ফাস্টিং সকলের জন্য কার্যকর নাও হতে পারে। বাইরের ধুলাবালি, পরিবেশ দূষণ, ধোঁয়া খুব সহজেই ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে ফেলে। বিশেষত প্রখর রোদের আলো ত্বকের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয়। ফলে যারা নিয়মিত বাইরে যাতায়াত করেন ও বাইরে বেশিরভাগ সময় কাটান, তাদের জন্য স্কিন ফাস্টিং কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম।
যাদের খুব বেশি সময় বাইরে কাটানো প্রয়োজন হয় না, বিশেষ ধরনের চর্মরোগ নেই এবং চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মোতাবেক কোন পণ্য বা ওষুধ ব্যবহার করছেন না, তারা স্কিন ফাস্টিং করতে পারবেন খুব সহজেই।
আরও পড়ুন: যেমন হওয়া প্রয়োজন স্পর্শকাতর ত্বকের যত্ন