প্রতিদিনই খাবারের সাথে এই মসলাগুলো গ্রহণ করা হলেও, মসলাগুলোর উপকারিতা সম্পর্কে খুব একটা জানা নেই আমাদের। প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন মসলা থেকেই আমাদের শরীর নানাবিধ উপকারিতা পায়। মসলা শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয়, সুস্থতার জন্যেও জরুরি। নীরোগ থাকার ক্ষেত্রে পরিচিত মসলাগুলোর কাজ সম্পর্কে জেনে নিন আজকের ফিচার থেকে।
লবঙ্গতে থাকা একাধিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান দাঁতের যন্ত্রণাসহ যে কোনও ধরনের ব্যথা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একইসাথে পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে এবং শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই মসলাটি।
এলাচে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও দ্রবণীয় আঁশ রক্তচাপ কমাতে কার্যকর। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব ক্রনিক ডিজিজের সমস্যাকে প্রশমিত করে। পাশাপাশি হজমজনিত সমস্যা ও মুখে বাজে গন্ধ দেখা দেওয়া প্রতিরোধেও এলাচ চমৎকার মসলা।
ঠাণ্ডার সমস্যাসহ নানাবিধ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে এই মসলাটি। আদায় উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ওজন হ্রাসেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি যাদের পরিবারে ডায়বেটিস রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের খাদ্যাভ্যাসে আদা থাকলে ডায়বেটিসের সম্ভাবনাকে অনেকটাই দূরে রাখা সম্ভব হবে।
আলঝেইমার এবং ক্যানসারকে দূরে রাখতে হলুদের কোনও বিকল্প নেই। কারণ এই মসলায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নানাভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশেষত হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন নামক উপাদান শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে বাধাদান করে, ফলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও কমে যায়।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়াতে ধনিয়া দারুণ উপকারী। একইসাথে পেটের সমস্যা কমাতেও ধনিয়া অবদান রাখে।
দারুচিনি গ্রহণে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে ডায়বেটিসের সমস্যাটি থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়। এছাড়া দারুচিনি গুঁড়া গ্রহণে কোমর ও পায়ের মেদ কমে। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন লাল চায়ের সাথে আধা চা চামচ পরিমাণ দারুচিনি গুঁড়া গ্রহণ করতে হবে।
খাবারকে সুস্বাদু বানানোর পাশপাশি একাধিক নন-কমিউনিকেবল ডিজিজকে দূরে রাখতে রসুনের কোনও বিকল্প নেই। বিশেষত হৃদরোগকে দূরে রাখতে রসুন সবচেয়ে উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। সেই সাথে সাধারণ ঠাণ্ডার সমস্যা কমাতে রসুন অতুলনীয়।
শরীরে জমে থাকা ক্যালোরি বার্ন করতে এই দারুণ কাজ করে। একাধিক পরীক্ষার ফলাফল জানাচ্ছে, প্রতিটি খাবারে এই মসলাটির ব্যবহার, খাবার প্রতি প্রায় ১০০ ক্যালোরি বার্ন করতে কাজ করবে।
এই মসলাটি শরীরে জমে থাকা মেদ ঝড়িয়ে ফলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিধায় ওজনকে নিয়ন্ত্রণের মাপকাঠিতে রাখা সহজ হয়। তবে জিরার সবচেয়ে দারুণ সুবিধা হলো, জিরা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: দারুণ উপাদান দারুচিনি
আরও পড়ুন: চুল পড়া কমাবে রসুন!