ধীরে ধীরে উষ্ণ আবহাওয়ার পরিবর্তে শীতল আবহাওয়া দেখা দিচ্ছে। এতে করে পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে ত্বকের ধরনেও। আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনের শুরুতেই ত্বকে ফাটাভাব দেখা দেয়। যার মাঝে গোড়ালির ফাটাভাব থাকে সবার প্রথমে।
এই সমস্যাটি যাদের দেখা দেওয়া শুরু হয়েছে অথবা এমন প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে, তাদের জন্যেই আজকের ফিচারে জানানো হলো কোন উপাদানগুলো ব্যবহারে উপকার পাওয়া যাবে এবং কীভাবে ব্যবহার করতে হবে।
পায়ের ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য মধু খুবই ভালো একটি প্রাকৃতিক উপাদান। মধু ব্যবহারের জন্য আধা কাপ গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। তৈরিকৃত মিশ্রণ পায়ের গোড়ালিতে ২০ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ শেষে পিউমিক স্টোনের সাহায্যে গোড়ালি ঘষে বাড়তি চামড়া পরিষ্কার করে নিতে হবে।
অ্যালোভেরার ভিটামিন- এ, সি এবং ই ত্বককে পুনর্জীবিত করতে ও ত্বকের যত্নে খুবই কার্যকর উপাদান। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের জন্য প্রথমে কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে, পিউমিক স্টোনের সাহায্যে গোড়ালি ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর পরিষ্কার পায়ের গোড়ালিতে পুরু করে অ্যালোভেরা পাতার জেল লাগিয়ে নিতে হবে। এবারে মোজা পরে সারারাত রেখে সকালে কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে নিতে হবে।
গোড়ালির ত্বক ফেটে যাওয়ার পিছনে একটা বড় কারণ আর্দ্রতার অভাব। এই অভাব দূর করার সহজতম উপায় হলো ভ্যাসলিন ও লেবুর রসের মিশ্রন। এই মিশ্রণ ব্যবহারের জন্য প্রথমে গরম পানিতে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পা শুকিয়ে নিতে হবে। এক চামচ ভ্যাসলিনের সাথে তিন-চার ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে গোড়ালির ফাটা স্থানে মিশ্রণটি ম্যাসাজ করে মোজা পরে নিতে হবে। সারারাত এভাবে রেখে সকালে গরম পানিতে পা ধুয়ে নিতে হবে।
শুধু পায়ের বাজে গন্ধ দূর করতেই নয়, গোড়ালির ফাটাভাব কমাতেও বেকিং সোডা খুব ভালো কাজ করবে। গোড়ালি ফাটার সমস্যা দূর করতে আধা বালতি হালকা গরম পানিতে তিন টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে উক্ত মিশ্রণে পা ডুবিয়ে বসে থাকতে হবে ১৫ মিনিটের জন্য। এ সময়ের মাঝে পায়ের ত্বক নমনীয় হয়ে আসবে। সময় হয়ে গেলে পানি থেকে পা তুলে পিউমিক স্টোনের সাহায্যে পায়ের ত্বক ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং পরিষ্কার তোয়ালেতে পা মুছে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: পায়ের নখের যত্নে যা জানা প্রয়োজন
আরও পড়ুন: টি ট্রি অয়েল ব্যবহারে সুরক্ষিত ত্বক