যা খুব সাধারণ উপসর্গ বা সমস্যা হিসেবে দেখা হলেও, আদতে এটা খুব সাধারণ কিংবা ছোট কোন সমস্যা নয়। মাড়ির রক্তপাতের সমস্যাটি Gingivitis এবং Periodontal Disease এর পূর্বলক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে, তাই এই সমস্যাটিকে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়।
এছাড়া দাঁতের ক্ষয়রোগের সমস্যাটি অনেক বেশিদিন হয়ে গেলে এবং সেটা মাড়ি পর্যন্ত চলে গেলে প্রদাহ থেকেও রক্তপাতের সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। আবার অনেক সময় দাঁতের উপর অতিরিক্ত জোর প্রদান করে ফ্লস করলে সেটা থেকে মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও রক্তপাত দেখা দিতে পারে। তবে একজনের মাড়ির রক্তপাত দেখা দেওয়ার পেছনে মূলত ও প্রধানত যে সকল কারণ থাকে, তার কয়েকটি হলো-
১. শরীরে ভিটামিনের অভাব।
২. রক্ত পাতলা হয়ে যাওয়া।
৩. মুখের ভেতরে ঘা বা ইনফেকশন হওয়া।
৪. ব্লিডিং ডিসঅর্ডার থাকা।
৫. হরমোনাল পরিবর্তন।
৬. ডায়বেটিস, হৃদরোগ অথবা কিউকোমিয়ার মতো সমস্যা থাকা।
দাঁতের পাশাপাশি মাড়ির যত্নেও নিয়মিত চেকআপ আবশ্যক। অযত্ন ও অবহেলায় যেমনভাবে দাঁতের ক্ষতি করে, ঠিক তেমনিভাবে মাড়িতেও দেখা দেয় নানাবিধ সমস্যা। তবে শুধু চেকআপেই মাড়ির সমস্যা থেকে দূরে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়। তার পাশাপাশি আরও কয়েকটি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন। যা মাড়িকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি সার্বিক শারীরিক সুস্থতা প্রদানেও ভূমিকা রাখবে।
এক্ষেত্রে কোন অজুহাত কাজ করবে না। স্বাস্থ্যকর দাঁত ও মাড়ি পেতে চিনি ও মিষ্টি ঘরানার খাবার গ্রহণ কমিয়ে দিতে হবে একেবারেই। অন্যদিকে ভিটামিন সমৃদ্ধ সবজি ও ফল গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে অনেকখানি। এতে করে সহজেই দাঁত ও মাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যাবে। মাড়ির রক্ত চলাচল বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এমন খাদ্য উপাদানের পাশাপাশি ভিটামিন-এ, সি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে মনযোগী হতে হবে।
মাড়ির রক্তপাতের পেছনে অন্যান্য নানা কারণ থাকলেও, মূলত দাঁতের সমস্যা থেকেই বেশিরভাগ সময় এই সমস্যাটি দেখা দেয়। দাঁতের ক্ষয়রোগের ফলে এমনটা হওয়ার পাশাপাশি দাঁত নিয়মিত না মাজার ফলে ইনফেকশনের সমস্যা থেকেও এমনটা হতে পারে। এছাড়া প্রতি তিন মাস অন্তর অবশ্যই ব্যবহৃত ব্রাশ বদলাতে হবে এবং ব্রাশ কেনার আগে নরম ও মোলায়েম ব্রাশ দেখে কিনতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন অন্তত একবার মাউথওয়াশের সাহায্যে মুখ কুলকুচি করতে হবে। এতে করে মুখের ভেতরের অংশ অনেকটা জীবাণুমুক্ত হবে।
একই আপেলে কয়েকজন কামড় দিয়ে খাওয়ার অভ্যাসটি হয়তো অনেকের কাছেই খুব সাধারণ বলে মনে হবে। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ এই অভ্যাসটি থেকেই ছড়াতে পারে দাঁত ও মাড়ির ইনফেকশন। তাই খাবার বা পানীয় শেয়ার করে খাওয়ার অভ্যাসটি পরিহার করতে হবে।