আর এতেই ত্বকে দেখা দিচ্ছে শুষ্কভাব। পুরোপুরি শীত নামার আগেই ত্বকের যত্নের ব্যাপারে সচেতন হলে সুস্থ ত্বক পাওয়া সহজ হয়ে যায় অনেকখানি। বিশেষত শীতকালীন সময়ে পায়ের ত্বক খুব বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে থাকে। সাথে পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যাটিও বেশি দেখা দেয়।
এই সমস্যাগুলোকে এড়াতে চাইলে উপকারী তেলের ব্যবহার আবশ্যিক। নারিকেল তেল তো বটেই, ক্ষেত্র বিশেষে অন্যান্য উপকারী ও এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহারও জরুরি হয়ে ওঠে। আজকের ফিচার থেকে আগেভাবেই জেনে রাখুন পায়ের যত্নে কোন তেলগুলো ব্যবহারে কোমল ও সুস্থ থাকবে পায়ের ত্বক।
এসেনশিয়াল অয়েলের মাঝে ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশর ও গ্রিকে খুবই জনপ্রিয়। শীতকালীন পায়ের যত্নে তো বটেই, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে এই তেলটি। ব্যবহারের জন্য তুলার বলে কয়েক ফোঁটা তেল নিয়ে ধীরে পায়ে ম্যাসাজ করতে হবে। বিশেষত পায়ের গোড়ালিতে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে।
বহুল ব্যবহৃত ও পরিচিত এই তেলটি অবশ্যই ত্বকের যত্নে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। আর যেখানে পায়ের যত্নের কথা বলা হচ্ছে, নারিকেল তেল সবচেয়ে বেশি উপকারিতা বহন করে। ত্বকের আর্দ্রতাকে দ্রুততম সময়ে ফিরিয়ে আনতে, ত্বকের মরা চামড়া দূর করতে এবং ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে নারিকেল তেল চমৎকার। ব্যবহারের জন্য হাতের তালুই কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল নিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করে মোজা পরে থাকতে হবে কয়েক ঘন্টার জন্য। এরপর কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে নিতে হবে।
যাদের পায়ের গোড়ালির ত্বক খুব বেশি ফেটে যাওয়াসহ পায়ের ত্বকজনিত নানাবিধ সমস্যা শীতকালে বেশি দেখা দেয় তাদের জন্য ভিটামিন-এ অয়েল ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এক টেবিল চামচ নারিকেল তেলে দুইটি ভিটামিন-এ ক্যাপসুল মিশিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করে ঘন্টাখানেক রেখে এরপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ পেপারমিন্ট অয়েল ত্বকের ভেতর থেকে আর্দ্রতা যোগাবে এবং ত্বককে আরামদায়ক অনুভূতি দিবে। যাদের পায়ের ত্বকে জ্বালাপোড়ার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই তেলটি বিশেষভাবে উপকারিতা বহন করে। পাশাপাশি শীতকালীন সময়ে পায়ের শুষ্কভাব দূর করতেও কার্যকরি এই তেল। ব্যবহারের জন্য অলিভ অয়েলের সাথে পেপারমিন্ট অয়েল মিশিয়ে তুলার বলের সাহায্যে পায়ে ম্যাসাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: টি ট্রি অয়েল ব্যবহারে সুরক্ষিত ত্বক
আরও পড়ুন: কেন চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহার করা প্রয়োজন?