আজকের দিনটা শুরু হয়েছে মেঘলা আকাশের সাথে। দুপুর গড়াতেই ঝুম বৃষ্টির পর এখন চারপাশে শীতল আবহাওয়া। এমন আবহাওয়ায় ধূমায়িত এক কাপ চায়ের সাথে কুড়মুড়ে কিছু খেতে ইচ্ছা করে। সেটা যদি বিস্কুট হয় তবে ঘরে তৈরি কাজু বিস্কুট কেন নয়। একেবারেই অল্প সময়ে হাতে গোনা কয়েকটা উপাদানেই তৈরি করে নেওয়া যাবে সহজ এই বিস্কুটটি। চলুন দেখে নেওয়া যাক কুরমুড়ে কাজু বিস্কুট তৈরি প্রক্রিয়াটি।
১. দুই কাপ ময়দা।
২. আধা কাপ সুজি।
৩. ১/৩ কাপ ঘি।
৪. ১/২ চা চামচ লবণ।
৫. ৩/৪ কাপ গরম পানি।
৬. ভাজার জন্য পরিমাণমতো তেল।
১. প্রথমে একটি বাটিতে ময়দা, সুজি ও লবণ একসাথে মেশাতে হবে ভালোভাবে। চালনির সাহায্যে চেলে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। এতে করে সকল উপাদান একসাথে ভালোভাবে মেশে।
২. এই মিশ্রণে ঘি দিয়ে হাতের সাহায্যে মাখাতে হবে। ঘি ও গুঁড়া উপাদান মিশে ঝরঝরে মিশ্রণ তৈরি হবে। এই মিশ্রণ হাতের তালুই নিয়ে চাপ দিলে আকৃতি পাবে আবার আঙুল দিয়ে হালকা নাড়া দিলে ঝুরঝুর করে পড়বে।
৩. এবারে এতে গরম পানি ধীরে ধীরে মিশিয়ে ময়দার কাই তৈরি করতে হবে। এই ময়দার কাই খুব বেশি শক্ত বা নরম করা যাবে না। মাঝামাঝি থাকবে।
৪. ময়দার কাই একটি বাটিতে ঢেকে রাখতে হবে ১৫ মিনিটের জন্য। এরপর কই থেকে বড় ও প্রসস্ত রুটির মতো বেলে নিতে হবে। বেলার সময় খুব জোরে চাপ দেওয়া যাবে না। ধীরে ধীরে বেলতে হবে এবং ১ সেন্টিমিটার পুরু হতে হবে।
৫. বেলে রাখা ময়দা থেকে কাজুবাদাম বা চাঁদের আকৃতিতে বিস্কুট কাটার জন্য কুকি কাটার বা গোলাকার কোন ধারালো জিনিস ব্যবহার করতে হবে। গোলাকার জিনিসের মাথার অংশে অল্প পরিমাণ নিয়ে কাটলে কাজুবাদামের মতো আকৃতি তৈরি হবে। এই আকৃতি থেকেই বিস্কুটের নাম দেওয়া হয়েছে কাজু বিস্কুট।
৬. এবারে কড়াইতে তেল মাঝারি আঁচে গরম করে কেটে রাখা বিস্কুটগুলো তেলে ছেড়ে দিতে হবে ও মাঝারি আঁচেই ভাজতে হবে। বিস্কুটগুলো গরম তেলের ভেতর ধীরে ধীরে বাদামী হয়ে আসবে ও ফুলতে থাকবে।
৭. বিস্কুটের উভয় পাশ ভাজা হয়ে গেলে তেল থেকে তুলে তেল ঝরিয়ে ও ঠাণ্ডা করে এতে চাট মসলা মিশিয়ে পরিবেশন করতে হবে। চাইলে চাট মসলার পরিবর্তে চিনি ছরিয়েও পরিবেশন করা যাবে।
এয়ার টাইট কৌটায় রাখা হলে ১৫ দিন পর্যন্ত ফ্রেশ ও কুড়মুড়ে থাকবে এই কাজু বিস্কুট।
আরও পড়ুন: দেশী আয়োজনে ভিনদেশী ফিশ ফিঙ্গার
আরও পড়ুন: ঘরে তৈরি সবজি সিঙ্গারা