এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত প্রাকৃতিক উপাদান খাওয়া হয় না। ফলাফল স্বরূপ খুব অল্প দিনের মাঝেই দেখা দেয় নানা ধরনের ছোট-বড় শারীরিক সমস্যা।
যার মাঝে খুব সাধারণ একটি সমস্যা হলো ক্লান্তি দেখা দেওয়া। অল্প সময়ের কাজেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে ও বিশ্রাম চায়। এমন সমস্যাটি তখনই দেখা দেয় যখন শরীর তার প্রয়োজনের তুলনায় কম শক্তি উৎপন্ন করে।
আমাদের শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয় খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে। খাবার খাওয়ার ফলে সরাসরি শক্তি তৈরি হয় না। মেটাবলিজমের মাধ্যমে খাদ্য উপাদান থেকে শরীর তার প্রয়োজনীয় শক্তি পেয়ে থাকে। এ কারণে মেটাবলিজমের হার যত কম হবে, শক্তির মাত্রা তত কমবে এবং শরীর তত বেশি ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়বে।
আরও বড় বিষয় হলো, মেটাবলিজমের হার কমে গেলে, বেড়ে যায় ওজন। ওজন কমা-বাড়ার সাথেও মেটাবলিজমের হার সরাসরিবভাবে সম্পৃক্ত। বলা যেতে পারে এক মেটাবলিজমের উপরে সুস্থ থাকা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেকটা নির্ভর করে।
কিন্তু অস্বাস্থ্যকর, চিনিযুক্ত ও উচ্চমাত্রার ক্যালোরিপূর্ণ খাবার মেটাবলিজমের গতি কমিয়ে দেয় অনেকখানি। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের উপরে নির্ভর করে মেটাবলিজমের সঠিক হার। তাই মেটাবলিজম বাড়াতে ও শরীরকে সুস্থ রাখতে গ্রহণ করতে হবে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি খাবার বা পানীয়। জেনে রাখুন অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন, মিনারেল সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর স্মুদি তৈরির প্রক্রিয়া, যা পান করা যাবে সকাল কিংবা বিকালের নাশতা হিসেবে।
১. এক কাপ আধা সিদ্ধ কচু শাক।
২. ৩-৪টি সেলেরি।
৩. দুইটি লেটুস পাতা।
৪. একটি পাকা কলা।
৫. একটি খোসা ছাড়ানো আপেল।
৬. একটি খোসা ছাড়ানো নাশপাতি।
৭. আধা কাপ পানি।
এর সাথে স্বাদ বাড়াতে অর্ধেক লেবুর রস অথবা এক চা চামচ মধু যোগ করা যেতে পারে। এই সকল উপাদান একসাথে ব্লেন্ড করে বরফ কুঁচির দিয়ে পান করতে হবে।