এসেনশিয়াল অয়েলের বহু ব্যবহারিতার মাঝে ঠান্ডা ও ফ্লুয়ের সমস্যায় এর উপকার লক্ষণীয়। ঠাণ্ডা, কাশি, ফ্লুয়ের সমস্যায় ওষুধ সেবনেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার হতে পারে সঠিক সিদ্ধান্ত। এসেনশিয়াল অয়েলের ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করার শক্তিই মূলত ঠান্ডার সমস্যা কমাতে কাজ করে।
উদ্ভিজ উপাদানের নির্যাস থেকে তৈরি এসেনশিয়াল অয়েলের কয়েক ফোঁটা ব্যবহারেই লক্ষণীয় পরিবর্তন ও ফল পাওয়া যায়। ফিচারে জানানো হলো এমন পাঁচটি উপকারী এসেনশিয়াল অয়েলের তথ্য।
২০১০ সালের একটি পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে, সিনামন এসেনশিয়াল অয়েলসহ কয়েকটি এসেনশিয়াল অয়েলের মিশ্রণ রোগীদের ভাইরাল ইনফেকশনের সমস্যাকে প্রায় ৯০ শতাংশ পরিমাণ কমিয়ে আনতে কার্যকর। এমনটা হওয়ার কারণ, দারচিনি একইসাথে উষ্ণ ও আরামদায়ক একটি প্রাকৃতিক উপাদান। যা ঠান্ডার সমস্যাকে কমিয়ে আরামভাব আনতে কাজ করে। চায়ের সাথে সিনামন এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে পান করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট থেকে দেখা যায়, সিনামন এসেনশিয়াল অয়েলের সাথে পিপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েলের মিশ্রণ সাইসানের সমস্যা কমাতে কাজ করে এবং বন্ধ নাসারন্ধের সমস্যা দূর করে। এছাড়া ঠান্ডা ও ফ্লুয়ের সমস্যা প্রতিরোধে ও কাজ করার এনার্জি বৃদ্ধিতে পিপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
বিভিন্ন ধরনের এসেনশিয়াল অয়েলের মাঝে সবচেয়ে পরিচিত ও জনপ্রিয় হলো টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল। নরম ও পরিষ্কার কাপড়ে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নাকের সামনে নিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে হবে। গবেষণার তথ্যানুসারে এই এসেনশিয়াল অয়েলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান ঠান্ডাজনিত কারণে নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা দূর করতে কাজ করবে।
লেমন এসেনশিয়াল অয়েলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ধর্ম সাধারণ ঠান্ডা ও ফ্লুজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে। এছাড়া এই তেল ন্যাচারাল স্ট্রেস রিলিভার হিসেবেও চমৎকার কাজ করে। অতিরিক্ত ঠান্ডার সমস্যার ক্ষেত্রে গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা লেমন এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে তার গরম ভাপ নিঃশ্বাসের সাথে টেনে নিতে হবে।
পুরো বিশ্ব জুড়ে বহুল ব্যবহৃত এসেনশিয়াল অয়েলটি হলো ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল। এই অয়েলের চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি ফ্রি রেডিক্যালের কারণে দেখা দেওয়া অসুস্থতা দূর করতেও কাজ করে। ফ্রি রেডিক্যাল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। এতে করে সহজেই ঠান্ডাজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে ল্যাভেন্ডার অয়েলের ব্যবহার ঠান্ডাজনিত সমস্যাকে ভালো করার পাশাপাশি প্রতিরোধেও কাজ করে।