অফিসে কোন খাবারগুলো রাখা যেতে পারে, এটা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন। কাজ ও ব্যস্ততার ফাঁকে ক্ষুধাভাব দমনের জন্য, শক্তি পাওয়া যাবে ও হুটহাট খাওয়া যাবে এমন খাবারের খোঁজ করছেন যারা, তাদের জন্যই আজকের এই ফিচার। অফিসে নিজের ডেস্কের ড্রয়ারে কোন খাবারগুলো রাখা যেতে পারে তার একটি তালিকা তুলে আনা হলো।
সকালে নাশতা করার সময় হয়নি, কিন্তু দুপুরে খেতে দেরী হয়ে গেছে? সাথে থাকা ইনস্ট্যান্ট ওটস এ সময়ে খুব কাজে আসবে। গরম পানিতে মিশিয়ে নিলেই তৈরি এই খাবার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ দ্রবণীয় আঁশ পাওয়া যাবে, ফলে পেটের সমস্যাতে ভুগতে হবে না। তবে ইনস্ট্যান্ট ওটসের পরিবর্তে সাধারণ ওটস খেতে পারলে উপকারিতা বেশি পাওয়া যাবে।
বেশিরভাগ ড্রাই ফ্রুটসে অতিরিক্ত চিনি থাকলেও, খুঁজলে চিনিবিহীন ড্রাই ফ্রুটসও পাওয়া যাবে। কয়েক প্রকারের ড্রাই ফ্রুটস শুকনো ও মুখবন্ধ বয়ামে রেখে দিলে যেকোন সময় কোন কিছু খেতে ইচ্ছা করলে কয়েকটা ড্রাই ফ্রুট খেয়ে নেওয়া যাবে। আঁশযুক্ত খাদ্য উপাদান হওয়ায় ক্ষুধাভাব কমাতে খুব ভালো কাজ করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্য জার্নাল অব নিউট্রিশন জানাচ্ছে, বাদামে থাকা উপকারী ফ্যাট ওজন বাড়াতে নয়, কমাতে কাজ করবে। প্রোটিন ও আঁশ সমৃদ্ধ কয়েক ধরনের বাদাম তাই নিজের কাছে রাখতে হবে সবসময়। তবে চেষ্টা করতে হবে আনসল্টেড বাদাম রাখার জন্য, কারণ সল্টেড বাদামে উচ্চমাত্রার লবণ স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
পিনাট বাটারের ফ্যানবেস যেমন আছে, তেমনই আছে পিনাট বাটার এড়িয়ে চলা মানুষও। তবে অফিসে হাতের কাছে নিজের সুবিধার জন্যই পিনাট বাটার রাখতে হবে। আপেল কিংবা এক টুকরা পাউরুটির সাথে অল্প পিনাট বাটার মিশিয়ে খেলেই ক্ষুধাভাব চলে যাবে, সাথে পাওয়া যাবে শক্তিও। যদি কোন ফল বা পাউরুটি না থাকে তবে শুধু এক চা চামচ পিনাট বাটার খেলেও কাজ হবে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে প্রতিদিন এক-দুই চা চামচের বেশি পিনাট বাটার খাওয়া যাবে না।
বাদাম বা ড্রাই ফ্রুটসের মতো স্বাস্থ্যকর খাবারের মাঝে একটু পছন্দসই খাবারের খোঁজ করলে সবচেয়ে ভালো হবে সাথে ডার্ক চকলেট রাখা। শুধু মজাদার নয়, ডার্ক আলাদাভাবে স্বাস্থ্যের জন্যেও উপকারী। চকলেট খাওয়ার ক্রেভিং, শারীরিক ক্লান্তি, মাথাব্যথা, বমিভাবের মতো সমস্যাগুলো নিমিষেই দূর করতে ডার্ক চকলেট সেরা একটি খাবার।
গ্র্যানোলা বারকে বলা হয় ক্লাসিক গ্র্যাব-অ্যান্ড-গো ফুড। একই সাথে স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু ও স্বল্প ক্যালোরিযুক্ত এই খাবারটি অফিসে কর্মরত মানুষদের মাঝে খুবই জনপ্রিয়। এতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ও আঁশ থাকায় এক প্যাকেট গ্র্যানোলা বারই ক্ষুধাকে দূরে রাখতে কাজ করে।
আরও পড়ুন: