শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের বহু দেশেই করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিদিন। বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সঙ্গরোধ (কোয়ারেন্টাইন), আইসোলেশন ও লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে নতুন নতুন স্থানে ও দেশে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ এতোটা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে মূল কারণ এর বিস্তারের ধরন। এই ভাইরাস আছে এমন যেকোন বস্তু বা ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা হলেই নিজের শরীরে চলে আসবে ভাইরাসটি। এ কারণে অন্য ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত ছয় ফিট দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। সেই সাথে বারবার নিজের হাত ধোয়া ও মুখের ত্বকে হাতের সাহায্যে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে।
প্রশ্ন আসছে, কোন জিনিসের উপরে কতক্ষণ পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে ভয়াল এই ভাইরাসটি। সদ্য পরিচিত এই ভাইরাসটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য খোদ বিজ্ঞানীদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে। খুব দ্রুত জিনে পরিবর্তন আনতে পারার দরুন প্রতিনিয়তই বদলাচ্ছে ভাইরাসটির গতিবিধি। তাই বলে বসে নেই গবেষক ও বিজ্ঞানীদের দল। বিগত কয়েক মাসে টানা গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা জানিয়েছেন জামাকাপড় উপর কতক্ষণ পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে এই ভাইরাসটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এবং নিউ ইয়র্ক মেডিক্যাল কলেজের স্কুল অব হেলথ সাইন্সের ডিন রবার্ট অ্যামলার জানান, কাপড়ের উপরে কতক্ষণ সময় পর্যন্ত করোনাভাইরাসের জীবাণু জীবিত থাকতে পারে সেটা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে সুতি কাপড়ের চাইতে পলেস্টার কাপড়ে এ ভাইরাসটি তুলনামূলক দীর্ঘসময় অ্যাকটিভ থাকতে পারে।
এদিকে প্লাস্টিক ও স্টেইনলেস স্টিলের জিনিসের উপরে ২-৩ দিন, কার্ডবোর্ডের উপর ২৪ ঘন্টা এবং কপারের উপরে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে করোনাভাইরাস। এ কারণে পোশাকের অনুসঙ্গ বা চেইনে কোন ধাতু বা উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি বলে জানান রবার্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যামিলি অ্যান্ড ইমার্জেন্সির ডঃ জ্যানেট নেশওয়েট পরামর্শ দেন, এ সময়ে প্রতিদিনের পরিধেয় পোশাক প্রতিদিন পরিষ্কার করে ফেলার জন্য। সেই সাথে পোশাক ধোয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘সাবান ও গরম পানির মিশ্রণ করোনাভাইরাসকে দুর্বল করে দেবে এবং দ্রুত ধ্বংস করবে। চেষ্টা করতে হবে কাপড়ের ক্ষতি না করে যথাসম্ভব উষ্ণ পানিতে জামাকাপড় কাঁচার জন্য।’