দেশে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই পরিস্থিতিতে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুস্থ রাখার প্রধান ও প্রথম ধাপটি হচ্ছে সচেতন হওয়া।
সচেতনতার জন্য নিজ বাসায় অবস্থান করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাতের সাহায্যে মুখে স্পর্শ না করা, বিশ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবানের সাহায্যে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে প্রথম থেকেই।
সাবান যদি সহজলভ্য না হয় এবং জরুরি ভিত্তিতে হাতকে জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সহজে ব্যবহারযোজ্য এই পণ্যটি হাতে থাকা জীবিত জীবাণু ধ্বংস করতে ও অকার্যকর জীবাণু সরিয়ে ফেলতে কার্যকর, এমনটাই জানান অ্যামেরিকান কাউন্সিল অন সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ এর মাইক্রোবায়োলজিস্ট অ্যালেক্স বেরজো।
এর সাথে তিনি আরও জানান, হ্যান্ড স্যানিটাইজারে অন্ততপক্ষে ৬০ শতাংশ পরিমাণ অ্যালকোহলের উপস্থিতি থাকতে তবেই তা জীবাণু ধ্বংসে কাজ করবে। একইসাথে কেমিক্যালজাত এই পণ্যটিরও রয়েছে নির্দিষ্ট মেয়াদকাল। যা পার হয়ে গেলে অনেকাংশেই অকেজো হয়ে যায় প্রয়োজনীয় এই জিনিসটি।
হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল খোলার পর থেকেই কমতে থাকে তার কার্যকারিতা। যার প্রধান কারণ অ্যালকোহল। সময়ের সাথে এটি বাতাসে বাষ্পীভূত হতে শুরু করে। বেশিরভাগ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মেয়াদ থাকে উৎপাদনের দিন থেকে পরবর্তী তিন বছর পর্যন্ত।
বেরজো জানান, এই পণ্যটি ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্যই হল হাতে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে হাতকে জীবাণুমুক্ত করা। কিন্তু সময়ের সাথে হ্যান্ড স্যানিটাইজারে অ্যালকোহলের মাত্রা কমে ৬০ শতাংশের নিচে চলে আসলেই সেটা তার স্বাভাবিক কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) থেকে জানানো হয়েছে, তিন বছর পার হয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ নতুন ও খোলা হয়নি এমন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারেও কিছুটা কার্যকারিতা পাওয়া যাবে। বিশেষত হাতের কাছে যখন কিছুই নেই এবং প্রয়োজনের সময়ে একদম কিছু ব্যবহার না করার চাইতে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে কিছুটা হলেও উপকার পাওয়া সম্ভব হবে।