ত্বকের যত্নের প্রথম শর্তটিই হল ত্বককে পরিষ্কার রাখা। নিয়মিত ত্বকের যত্ন ও ত্বককে পরিষ্কার রাখতে পারলেই বেশিরভাগ ত্বকজনিত সমস্যা দূর করা সম্ভব হয়। ত্বক পরিষ্কারের জন্য সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করা।
হাতের কাছে যদি কাঙ্ক্ষিত ক্লিনজার না থাকে, তবে ঘরে থাকা উপকারী উপকরণই কাজ করবে ত্বকের ক্লিনজার হিসেবে। এ সকল উপকরণ ত্বককে পরিষ্কার করার সঙ্গে ত্বকে পুষ্টি জোগাতেও সাহায্য করে বলে ত্বক তুলনামূলকভাবে বেশি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
ত্বকের প্রাকৃতিক তেলকে দূর না করেই ত্বককে পরিষ্কার করতে পারে নারিকেল তেল। এই তেলের প্রাকৃতিক ফ্যাটে থাকে লাইনোলিক অ্যাসিড যা একনের সমস্যার বিরুদ্ধে কাজ করে এবং লরিক অ্যাসিড, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ধর্ম সম্পন্ন এই অ্যাসিডটি ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতে কাজ করে।
ব্যবহারের জন্য হাতের তালুই সামান্য নারিকেল তেল নিয়ে মুখের ত্বকে আলতোভাবে ৩০-৪০ সেকেন্ড ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতে হবে ৩০ সেকেন্ডের জন্য। এ সময়ে ত্বকের লোমকূপগুলো বড় হয়ে ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা বের হয়ে আসবে। এরপর তোয়ালের সাহায্যে ধীরে ধীরে মুখ ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিতে হবে।
নারিকেল তেলের পর ত্বকের ক্লিনজার হিসেবে অলিভ অয়েলকে বলা হচ্ছে স্টার। কারণ এই তেলটি ত্বককে পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্বককে তার প্রয়োজনীয় পুষ্টিও সরবরাহ করে। ফলে অলিভ অয়েল ব্যবহারে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে কোমল ও নরম থাকে। বিশেষত এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও গুড ফ্যাট ত্বকের ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ কমিয়ে এনে ত্বকের সমস্যা ও রোদেপোড়াভাবকে স্তিমিত করে।
ব্যবহারের জন্য একটি ডিমের কুসুম, এক টেবিল চামচ মধু,এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ব্রাশের সাহায্যে ত্বকে সমানভাবে অ্যাপ্লাই করতে হবে। অন্তত ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে এরপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
এই কম্বিনেশনটা যথেষ্ট অদ্ভুত মনে হলেও ত্বকের যত্নে জিনিসটা খুবই চমৎকার কাজ করে। বিশেষত যাদের ত্বক খুব শুষ্ক, তাদের ত্বকের জন্য এই দুই উপাদানে তৈরি স্ক্রাবটি বেশি উপকারী। প্রাকৃতিকভাবে ত্বকে পুষ্টি জোগাতে এবং এক্সফলিয়েট করতে এই দুইটি উপাদানই যথেষ্ট।
ব্যবহারের জন্য ৬-৭টি কাঠবাদাম গুঁড়া করে এতে ১/৪ চা চামচ পরিমাণ মেয়নেজ মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করেতে হবে। ত্বকে আলতোভাবে ম্যাসাজ করে স্ক্রাব করে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর ঘরোয়া তাপমাত্রার পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।