করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পুরো পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ রয়েছে লকডাউনে। সেই সাথে গ্লোবাল ডেস্টিনেশনের ৯৬ শতাংশ স্থানের উপরেও আরোপ করা হয়েছে ট্রাভেল রেস্ট্রিকশন।
ফলে কমেছে রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি, গাড়ি চলাচল, কলকারখানা ব্যস্ততা। এতে করে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে পুরো পরিবেশের উপর। বিশেষত বায়ুদূষণের হার কমেছে লক্ষণীয়ভাবে। লকডাউনের ফলে চীনের বায়ুদূষণ কমেছে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। এদিকে সিএনএন জানাচ্ছে, স্টেটের উপর নির্ভর করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫-৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে বায়ুদূষণ।
মহামারীর এই সময়টা মানুষের জন্য ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়ালেও, পরিবেশের উপর তার প্রভাব পরম বন্ধুর মত হয়ে দেখা দিয়েছে। আজকের ফিচার থেকে দেখুন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের একই স্থানের লকডাউনের আগে ও পরের চিত্র।
ইউএসএ টুডের মতে নিউ দিল্লির বাতাস এতোটাই দুষিত যে তা মহাকাশ থেকেও দেখা সম্ভব। এদিকে সিএনএনের রিপোর্ট অনুযায়ী লকডাউনে এখানের নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা এক সপ্তাহে কমে গেছে ৭১ শতাংশ পর্যন্ত।
ওয়াটারওয়েসে সবসময় গমগম করত এই স্থানটি। মার্চের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির পর এখানের পানি পরিষ্কার হয়ে যায় অভাবনীয় মাত্রায়। সেই সাথে বাতাসের মানেও উন্নতি দেখা দেয়।
বিবিসি এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৮ সালে ইউরোপের অন্যতম দুষিত শহর হিসেবে বিবেচিত হয় মিলান। এ শহরের স্মগের (ফগ ও স্মোক) সমস্যা খুব গুরুতর। লকডাউনে এ শহরের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অবাক হওয়ার মত পরিবর্তন দেখা দেয় শহরের বাতাসে।
গার্ডিয়ানের রিপোর্ট জানায়, জাকার্তার বায়ু দূষণ এতোই প্রকট যে দেশটির কিছু স্থানীয় অ্যাকটিভিস্ট ইন্দোনেশিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বর্তমানে জাকার্তা ইনভারোমেন্ট অ্যাজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী মার্চের লকডাউনের জন্য এখানের বাতাসের মান লক্ষণীয়ভাবে উন্নত হয়েছে।
দেশটির স্থানীয় একটি পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামাবাদের বায়ু দূষণের হার খুব বেশি ছিল যান চলাচল ও স্টিল মিলের ধোঁয়ার জন্য। লকডাউন পরিস্থিতির জন্য যে দূষণের মাত্রা চোখে পড়ার মত কমে গিয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস যেন সত্যিকার অর্থেই তার পরীকে হারিয়ে ফেলেছিল ট্রাফিকের ধোঁয়া ও স্মগের কারণে। বর্তমানে সিএনএন এর রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯৫ সালের পর এই বছরের মার্চে এসে শহরটির বাতাস পরিছন্ন দেখা গেছে।