রান্নাঘরের অন্যতম একটি জরুরি ও প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হল কিচেন স্পঞ্জ বা থালাবাসন ধোয়ার স্পঞ্জ। প্রতিদিনের এঁটো থালাবাসন পরিষ্কার করার জন্য এই জিনিসটি ছাড়াকোন গতি নেই। তেল, ময়লাসহ বিভিন্ন খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ পরিষ্কার করতে স্পঞ্জ প্রয়োজন হবেই।
কিন্তু একবার খেয়াল করে দেখুন তো, বর্তমানে যে স্পঞ্জটি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা কতদিন আগের? শেষ কবে স্পঞ্জ পরিবর্তন করা হয়েছে? একই কিচেন স্পঞ্জ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ফলে অজান্তে নিজেদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছি আমরা।
দীর্ঘদিন একই স্পঞ্জ ব্যবহারের ফলে এতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গড়ে ওঠে। যার মাঝে ই.কোলাই, স্যালমোনেলাসহ থাকতে পারে অজানা বহু জীবাণু।
জার্মানির ফারটঅয়ানজেন ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের প্রফেসর মার্কাস এগার্ট, পিএইচডি ২০১৭ সালের একটি গবেষণার ফল থেকে জানান, কিছু ক্ষেত্রে টয়লেট সিটের চাইতেও বেশি জীবাণু থাকতে পারে রান্নাঘরের স্পঞ্জে। বিভিন্ন মেয়াদে ব্যবহার করা স্পঞ্জ পরীক্ষা করে তিনি স্পঞ্জে ৩৬২ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া এবং ৫.৫ ট্রিলিয়ন মাইক্রোস্কপিক বাগ (অতি ক্ষুদ্র পোকা) এর সন্ধান পেয়েছেন।
যার ভিত্তিতে তিনি পরামর্শ দেন, প্রতি এক-দুই সপ্তাহের মাঝে অবশ্যই ব্যবহৃত কিচেন স্পঞ্জটি পরিবর্তন করে নেওয়ার জন্য। এ সময়ের মাঝে স্পঞ্জটি ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় থাকে, এরপর থেকেই এতে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও জীবাণুর বিস্তার ও জন্ম শুরু হয়। এক-দুই সপ্তাহে একটি স্পঞ্জ প্রায় নতুনের মতই থাকে, কিন্তু এর বেশি সময় ধরে সেটা ব্যবহার করা হলে স্বাস্থ্যকে বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে ফেলে দেওয়া হবে বলে জানান মার্কাস।