বিশ্বব্যাপী করোনা দুর্যোগে স্থবির হয়ে পড়ছে অর্থনীতি। মন্থর হয়ে যাচ্ছে ফ্যাশন-মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিও। তবে উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এই ইন্ডাস্ট্রির মন্দা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এ জন্য আছে ‘ভার্চুয়াল ফটোশুট’ ব্যবস্থা। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, এমনকি ফটোগ্রাফার ও মডেল- কেউ কারো সামনে সশরীরে উপস্থিত না হয়েও কেবল ঘরে বসেই করা যাবে এ ধরনের ফটোশুট।
ফ্যাশন-মডেলিং ইন্ডাস্ট্রির চাকা সচল রাখতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ধরনের ফটোশুট সিরিজের আয়োজন করেছিল ফ্যাশন ম্যাগাজিন ‘ক্যানভাস’। সিরিজের নাম ‘ক্যানভাস ফ্যাশনোভেশন বাই আজরা মাহমুদ।’ ১৪ মে থেকে শুরু হওয়া এই ফ্যশনোভেশনে শেষ হয় ২০ মে। তাতে সাতটি টিম অংশ নিয়েছে। যে দিন যে টিমের ফটোশুট হয়েছে, সে দিন সেই টিমের সদস্যরা ‘ক্যানভাস ফ্যাশনোভেশন বাই আজরা মাহমুদ’-এসেছেন।
ক্যানভাস ফেসবুক পেজ থেকে তা প্রচার করা হয়েছে। টিমগুলো উপস্থিত হয়েছিল আলাদা আলাদা থিমে। প্রতি টিমে ছিলেন ফ্যাশন নির্দেশক, ফটোগ্রাফার ও মডেল। শুট করতে গিয়ে কী ধরনের প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়েছে এবং সেগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য পরবর্তীতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলাপ হয়েছে ফ্যাশনোভেশনে।
এ বিষয়ে ক্যানভাসের এক্সিকিউটিভ এডিটর নুজহাত খান বলেন, ‘গত কয়েকদিনে সকলের সঙ্গে আলাপনে বেশ কিছু সম্ভাবনা উঠে এসেছে। আজরা মাহমুদ ও আমি যেই ভাবনা থেকে এই সিরিজ শুরু করি, সেটা অনেকাংশেই সফলতা পেয়েছে। সবাই-ই এ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছিল, কিন্তু গুছিয়ে ওঠা হচ্ছিল না। কিন্তু প্রজেক্ট আকারে হওয়ায় সবাই এতে অংশ নেয়। এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই সিরিজটি সম্পন্ন হয়। আমাদের আলাপনে এমন কিছু সমাধান বেরিয়ে আসে যা ভবিষ্যতে আরও হায়ার কোয়ালিটি ও ভালো রেসুলেশন সম্পন্ন শুটের নিশ্চয়তা দেবে।’
শুটের ছবিগুলো আপ করা হয়েছে ক্যানভাস ফেসবুক পেজে। এ ধরনের ফটোশুটের আইডিয়া ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টমহলসহ দর্শকনন্দিত হয়েছে। উল্লেখ করা প্রয়োজন, এ ধরনের শুট করে অনেক মডেল ও ফটোগ্রাফাররাই এখন বাণিজ্যিকভাবে ডাক পাচ্ছেন। সে সব ছবি ব্যবহার করা যাচ্ছে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে। ভার্চুয়াল ফটোশুট নিয়ে এর আগেও আন্তর্জাতিকভাবে কাজ হয়েছে। বিশ্বের স্বনামধন্য ম্যাগাজিনগুলোও এ ধরনের ফটোশুটের আয়োজন করেছিল। তাতে অংশ নিয়েছিল প্রফেশনাল মডেল ও ফটোগ্রাফাররা।