শুধু শীতকালীন সময়েই ঠোঁটের ত্বক ফেটে যায়, এটা ভুল ধারণা। ঠোঁটের ত্বক খুবই পাতলা হওয়ার দরুন যেকোন ঋতুতেই শুষ্ক আবহাওয়ায় ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। এছাড়া রোদের আলোর ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবেও ঠোঁট ফাটার সমস্যাটি দেখা যায়।
ঠোঁট ফাটার সমস্যাটি এড়াতে বিভিন্ন ধরণের লিপজেল কিংবা লিপবাম ব্যবহার করা হলেও, এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার থেকে উপকার ও সুরক্ষা উভয়ই পাওয়া যাবে সমানভাবে। জানুন চমৎকার তিন এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার, যা ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে কাজ করবে।
এই এসেনশিয়াল অয়েলে বিদ্যমান ভিটামিন-সি ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদান করে, যা ত্বককে ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ থেকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে। এছাড়া ত্বকের পুরনো ক্ষত সারিয়ে তুলতে ও নতুন কোষ তৈরি করার পাশাপাশি ঠোঁটের ত্বককে কোমল রাখতেও কাজ করবে এই তেলটি।
আরামদায়ক ও ঠান্ডাভাব তৈরিকারী উপাদান সমৃদ্ধ পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা ঠোঁটের ত্বককে পুষ্টি দান করে এবং প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা প্রদান করে কোমল রাখে। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন-সি ঠোঁটকে রোদের আলোর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে কাজ করে। এই এসেনশিয়াল অয়েলের সবচেয়ে ভালো দিকটি হল, ঠোঁটের ঘা জনিত ব্যথাভাব কমাতে দারুণ কার্যকরি।
বিভিন্ন ধরণের এসেনশিয়াল অয়েলের মাঝে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলটি সবচেয়ে পরিচিত। ত্বকের বিভিন্ন ধরণের পরিচর্যায় এই তেলটি অন্যান্য এসেনশিয়াল অয়েলের আগে প্রাধান্য পায়। ফলে সন্দেহাতীতভাবেই ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল ঠোঁটের জন্য উপকারী। এতে থাকা প্রদাহবিরোধী ধর্ম ও আরাম প্রদানকারী ধর্ম ঠোঁটের শুষ্কভাব দূর করে কোমল করতে কাজ করে।