কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের ভড়ুয়াপাড়া গ্রামের জালাল মোল্লার বাড়ি থেকে মনোহরপুর কালুপাড়া মোড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তাটি শত বছরেও সংস্কার হয়নি। ফলে শত-শত বিঘা জমির ফসল নেয়া ও স্বল্প সময়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পৌঁছাতে ভোগান্তির শেষ নেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে সড়কে হাঁটু সমান কাদা থাকে। তাইেএ সময় বাজারে যাওয়া বা বিপদকালীন সাহায্য পাওয়া এবং স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার কোনো উপায় থাকে না।
স্থানীয় এলাকাবাসী রিপন আলী ও রবিউল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, রাস্তার বেহাল দশার কারণে তারা সপ্তাহে একদিন বাজার করেন এবং বাঁকি সময় বাড়িতে থাকেন একান্ত প্রয়োজন নাহলে বের হন না। তাদের ছেলে মেয়েরা এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না।
বানিয়া খড়ি, নিতাইলপাড়া, দমদমা ভড়ুয়াপাড়া, চরনিতাইলপাড়া, উদয় নাতুড়িয়াসহ আরও অনেক গ্রামবাসীদের পান্টি, ভালুকা বা চাঁদপুরে প্রায় ৬/৭ কিলোমিটার বেশি রাস্তা ঘুরে যেতে হয়। অথচ এই রাস্তাটি সংস্কার করা হলে অনেক স্বল্প সময়ে কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছাতে সুবিধা হতো।
এছাড়া ভালুকা, কালুপাড়া, নাতুরিয়া ও দক্ষিণমনোহর পুরের শত শত বিঘা জমির ফসল নিয়ে যাওয়ার একটি মাত্র রাস্তাটি বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যে কারণে কৃষকদের ভোগান্তির শেষ থাকে না।
এ বিষয়ে বাগুলাট ইউপি চেয়ারম্যান জামাল সরকার জানান, তার ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা পাকা। ভড়ুয়াপাড়া জালাল মোল্লার বাড়ি থেকে কালুপাড়া পর্যন্ত মাঠের পাশ দিয়ে যাওয়া এই কাঁচা রাস্তাটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে আগামী অর্থ বছরে এ সড়ক নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।