নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত এক কোটি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশে সবুজ বিপ্লব সাধিত হবে। ১৯৮১ প্রধানমন্ত্রী দেশে আসার পর ১৯৮৪ সাল থেকে প্রতিবছরই কৃষক লীগের মাধ্যমে গাছ লাগাতেন। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমের তিন মাসই এই কর্মসূচি চলতো। এখনও সেটা চলমান রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) প্রতিমন্ত্রী ঢাকায় সংসদ ভবন চত্বরে 'মুজিববর্ষ ২০২০' উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ আয়োজিত বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। জাতি শোকাহত। ১৫ আগস্টের ঘটনা, একটি জঘন্যতম ঘটনা। খুনিরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। তাদের হাত থেকে নারী, শিশু, গর্ভবতী মা’ও রক্ষা পায়নি। এ সময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারির কারণে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তবে সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত এক কোটি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি চলমান আছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুজিববর্ষে সারাদেশে এক কোটির বেশি গাছের চারা রোপণ করা হবে।
তিনি বলেন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে থাকেন। বিশ্বে দ্বিতীয় কোনো রাজনৈতিক দল এভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে না। তিনি বলেন, এজন্যই সারাবিশ্বে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পরিবেশ বান্ধব রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রকৃতি ও মানুষকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সেই ধরনের মানুষ যিনি প্রকৃতির সাথে ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান’ কিন্তু উদ্যান ছিলনা। এখানে ঘোড়ার দৌড় হত এবং সেটা নিয়ে বাজি খেলা হত। বঙ্গবন্ধু সেটাকে বাতিল করে দিয়ে, সেখানে তিনি উদ্যান করেছেন। বঙ্গবন্ধু সেখানে নারকেল গাছের চারা লাগিয়েছিলেন। আজকে সেটা উদ্যানে পরিণত হয়েছে। রাজধানীবাসীকে স্বাস্থ্যকর ও ফুসফুসের প্রশান্তির জন্য বঙ্গবন্ধু একটি উদ্যান উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সমুদ্র তীরবর্তী উপকূলীয় এবং সুন্দরবন এলাকায় গাছের চারা লাগিয়েছেন। সেটা আজকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদের রক্ষা করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকে দেশকে সুরক্ষা করতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, নাদিরা সুলতানা এমপি এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নুরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।