চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ভূমি হস্তান্তর ফি কমানোর দাবি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 05:29:17

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন আবাসিক এলাকাসমুহে ভূমির মালিকানা হস্তানান্তরের অতিরিক্ত ফি নির্ধারণের কারণে ভূমির হস্তানান্তর, জমির রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য জটিলতায় একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, সিডিএ’র আওতাভুক্ত আবাসিক এলাকাসমূহে জমি বিক্রি, হস্তান্তর কমে গেছে।

অনেকে প্রয়োজনে জমি কিনলেও জমির রেজিস্ট্রেশন সময়মতো করাচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে সিডিএ এর আওতাভুক্ত আবাসিক এলাকাসমুহে ভূমি হস্তানান্তর ফি কমানানোর দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব এই দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার ধাপে ধাপে বিভিন্ন সময় জমির রেজিস্ট্রেশন ফি বৃদ্ধির কারণে জমি ক্রয়-বিক্রি অনেকটাই থমকে আছে। তার উপর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় কাটা প্রতি ভূমি হস্তান্তর ফি ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, আর তার উপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ এবং মৌজা ভ্যালু কাটা প্রতি ৪৫ লক্ষ টাকায় উন্নীত করায় জমি ক্রয় বিক্রয় রেজিস্ট্রেশন আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে। অনেকেই হেবা বা চুক্তিনামা করে আপাতত কাজ সারছেন। ফলে সরকার একদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছেন। আবার সিডিএ এর আওতাভুক্ত আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা সরকারের পাশাপাশি সিডিএকেও দুই ধরনের রেজিস্ট্রেশন ও হস্তান্তর ফি দিতে বাধ্য হচ্ছেন। যা অনেকটাই এক দেশে দুই আইনের মতো।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকার জমি রেজিস্ট্রেশন খাতে কর বৃদ্ধি করায় অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার জমি ক্রয়ের আগ্রহ থাকলেও রেজিস্ট্রিশনের ভয়ে জমি ক্রয়ে সক্ষম হচ্ছে না। বিষয়গুলি নিয়ে বিভিন্ন সময় ভুমি রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে দাবি দাওয়া জানানো হলেও সরকার বিষয়টি আমলে নেন নি। ফলে ভূমি রেজিস্ট্রেশন খাতে সরকারের রাজস্ব আদায় শ্লথ গতি হয়ে আছে। আর এ অবস্থা চলমান থাকলে ভূমি রেজিস্ট্রেশন খাতে বিরোধসহ নানা জঠিলতা সৃষ্ঠি হতে পারে। সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে পারে।

তাই অবিলম্বে ভূমি রেজিস্ট্রেশন খাতে ফি কমানোর পাশাপাশি চট্টগ্রাম উন্নয় কর্তৃপক্ষের আওতাধীন আবাসিক এলাকাসমুহে ভূমির মালিকানা হস্তান্তরের অতিরিক্ত ফি কমানো উচিত বলে মন্তব্য করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর