পাথর শ্রমিকদের বোবা কান্না

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’


মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পাথর শ্রমিকদের বোবা কান্না, ছবি: নূর এ আলম

পাথর শ্রমিকদের বোবা কান্না, ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলা জাফলং। যেখানে ভ্রমণে এসে প্রতিদিন আনন্দ পায় হাজার হাজার পর্যটক। সেই পর্যটন এলাকার মানুষের বোবাকান্না শুনে না কেউই। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের অন্য কোনো কর্মসংস্থান না থাকায় স্থানীয় লোকজন পিয়াইন নদী থেকে বালু এবং পাথর উত্তোলন ও পাথর ভাঙার কাজ করে সংসার চালান। কিন্তু তাদের সংসারে বর্তমানে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আন্দোলন সংগ্রাম করেও পাচ্ছেন না ফল।

এমন অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করে ৭৫ বছর বয়সী পাথর শ্রমিক সুনামগঞ্জের আলতু মিয়া বলেন, টাকার অভাবে চিকিৎসাও করতে পারি না, অনেক সময় না খেয়েও আমাদের দিন কাটাতে হয়। পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। আর শ্রমিক দিবস যে আসলে কি তা আমরাও বুঝি না। আমরা কিভাবে খেয়ে বাঁচবো সে চিন্তায় থাকি।যে সময় মানুষ আন্দোলন করে আমরা তখন যাই।কিন্তু আন্দোলন করে কোনো লাভ হয় না।

তিনি বলেন, ৩০ বছর ধরে জাফলংয়ে বসবাস। পেশায় তিনি পাথর শ্রমিক। পাঁচ সদস্যের পরিবারে একমাত্র উপার্যনকারী। ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।

পিয়াইন নদী থেকে তোলা পাথর, সেই পাথর ভাঙার কাজ করে সংসার চালান অনেক শ্রমিক/ছবি: নূর এ আলম


সকাল পেরিয়ে দুপুরের খরতাপে মাথা থেকে কপাল চুইয়ে মুখ গড়িয়ে পড়ছিল ৬৯ বছরের নিজাম উদ্দিনের ঘাম। ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। কাজের ফাঁকে কথা হয় তাঁর সাথে প্রতিবেদকের।

তিনি জানালেন, বর্তমানে তাদের পরিস্থিতি খুব খারাপ যাচ্ছে। এক ট্রাক এলসি পাথর ভাঙতে পারলে ১২০০ টাকা পান। এখন একদিন হোক বা ৩দিন হোক যে কয়দিন সময় যাক ওই টাকার উপরে একটা টাকাও কেউ দেবে না।

তিনি বলেন, মে দিবস বা শ্রমিক দিবসে আন্দোলন করে ছার আনা আমাদের লাভ বা কোনো কিছু আমরা পাইনি। আমদের মজুরিও বাড়ছে না। এক টাকা বাড়েনি। বরং আমাদের লস(ক্ষতি) হচ্ছে। আগে এলসি পাথর ভাঙতে পারলে ১৬০০ টাকা নিয়ে ঘরে ফিরতে পারতাম। এখন সেই পাথর ভেঙ্গে ১২০০ টাকা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। যদি পাথর কোয়ারি খুলে দেয়া হতো তাহলে এমন অভাব অটনটনে দিন কাটাতে হতো না। শুধু আলতু মিয়া ও নিজাম উদ্দিন নয়, এমন আরও অনেক শ্রমিকের দিন পাত যাচ্ছে কষ্টে।

পাথরের স্তুপ, ছবি: নূর এ আলম


সরেজমিনে সিলেটের জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র গরমে নারী-পুরুষ সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন ক্রাশার মিলে। অনেকেই নতুন কাজের সন্ধানে ছুটে যাচ্ছেন দিকবিদিক। জাফলং বিজিবি ক্যাম্পের পাশে কয়েকটি ক্রাশার মিল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মেশিন ও যন্ত্রপাতিতে মরিচিকা ধরেছে। আর পিয়াইন নদী থেকে ছোট ছোট নৌকা দিয়ে বালু সংগ্রহ করে সেখানেও পাথর খুঁজে বেড়ান কিছু সংখ্যক শ্রমিকেরা।

জানা যায়, ২০১২ সালে জাফলংয়ের পিয়াইন নদীসহ ১৫ কিলোমিটার এলাকাকে ‘পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ (ইসিএ) ঘোষণা করা হয়। ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এ সংক্রান্ত গেজেটে বলা হয়, ‘অপরিকল্পিতভাবে যেখানে-সেখানে পাথর উত্তোলন ও নানাবিধ কার্যকলাপের ফলে সিলেটের জাফলং-ডাউকি নদীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা সংকটাপন্ন, যা ভবিষ্যতে আরও সংকটাপন্ন হবে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। ইসিএভুক্ত এলাকায় যান্ত্রিক বা ম্যানুয়াল কিংবা অন্য কোনো পদ্ধতিতে পাথরসহ অন্য যেকোনো খনিজ সম্পদ উত্তোলন নিষিদ্ধ।’ কেবল জাফলং আর শাহ আরেফিন টিলা নয়, এমন চিত্র সিলেটের প্রায় সবগুলো পাথর কোয়ারি এলাকার। পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি ও লোভছড়া–এই পাঁচ কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

 

পাথর শ্রমিক হিসেবে কাজ করে দিন ১০০ থেকে ৪০০ টাকা করে পান শ্রমিকরা, ছবি: নূর এ আলম


এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালত।

জাফলং ক্রাশার মিলে কাজ করেন ষাটোর্ধ্ব রহিমা বেগম। তিনি বলেন, সারাদিন কাম-কাজ করে দুই থেকে আড়াইশ টাকা পাই।কিন্তু বর্তমানে যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে দাম এই টাকা দিয়ে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। তবুও কাজ করতে হয়।কাজ না করলে ঘরে না খেয়ে মরতে হবে।

রেখা গোয়ালা বলেন, কোনো দিন ১০০ টাকা আর কোনো দিন ৪০০ টাকা পাই। এসব টাকায় পর্তায় পড়ে না। এতো কষ্ট করেও বাচ্চা-কাচ্চাদেএ মুখে হাসি ফুটানো যায় না। তার চেয়ে কোয়ারি খুলে দিলে খেয়ে বাঁচতে পারতাম।


এছাড়াও আরও কয়েকজন শ্রমিক জানান,নদী থেকে পাথর তোলা বন্ধ হওয়ার পর থেকে অভাব অনটনে চলছে তাদের জীবনযাত্রা। কাজ না পেয়ে অনেকেই অপরাধের সাথে জড়িত হচ্ছে। সিলেট ছাড়াও অন্যান্য জেলার যারা শ্রমিক ছিলেন তারাও এলাকায় গিয়ে কাজের সন্ধান করছেন। আমরা না খেয়ে মরলেও কারো কোনো কিছু আসে যায় না।

এ বিষয়ে পিয়াইন পাথর উত্তোলন ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি সহসভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান লিলু বলেন, কোয়ারী সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। না আমরা চলতে পারছি, না আমাদের বাচ্চা-কাচ্চা চলতে পারতেছে। কোয়ারিগুলো বন্ধ থাকায় এখানকার শ্রমিকদের অভাব অনটন ও অনাহারে দিনপার করতে হচ্ছে। কিছু শ্রমিক কাজের জন্য ঢাকায় গার্মেন্টসে ছুটতেছে। যারা ক্ষুদ্র সম্বল নিয়ে ব্যবসায় শুরু করেছিল তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। এখন তারা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরতেছে।

প্রধানমন্ত্রীসহ খনিজ মন্ত্রণালয়সহ সবার কাছে একটাই আবদেন আমাদের কথা ও ছেলে-মেয়েদের কথা চিন্তা করে পাথর কোয়ারি খুলে দিলে আমরা দু-বেলা দুমুঠো ভাত খেয়ে বাঁচতে পারবো।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি রিট রয়েছে। তাছাড়া এ বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখভাল করছেন।

   

কটিয়াদীতে বিজয়ী দুজনেই নতুন মুখ, একজন সাবেক



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন দুজন বিজয়ী হয়েছেন৷ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক একজন বিজয়ী হয়েছেন৷

মঙ্গলবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফল দেওয়া হয়েছে রাত সাড়ে এগারোটায়।

এর আগে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় কোন অঘটন ছাড়াই শেষ হয় ভোটগ্রহণ৷ তাই কোন চাপ ছাড়াই ভোট গ্রহণ সংশ্লিষ্টরা স্বাভাবিক দিনপার করেছেন। খোশমেজাজে সময় কাটান নিয়জিত নিরাপত্তা কর্মীরা।

এতে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন,মইনুজ্জামান অপু (ঘোড়া) ৪৪৩০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আলী আকবর (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ১৯৮৮৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বদরুল আলম নাঈম (চশমা) প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৪৩০৫৮ ভোট৷ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শিকদার (তালা) পেয়েছেন ২৯৪৫৮ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাথী বেগম (কলস) ৩৮৭৩৫ ভোট৷ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রোকসানা।

কটিয়াদী সম্মেলন কক্ষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান৷

১০১ টি মোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কটিয়াদী উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১,৮৬ হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৯.১১৪ জন। মহিলা ভোটার ১,৬৩,৫১২ জন।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

জামালপুরে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে জামালপুরের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, বকশিগঞ্জ উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকে নজরুল ইসলাম সাত্তার উপজেলা ৫৩টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী ২৮ হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের চার বারের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮০৯ ভোট।

এই উপজেলায় মো: শাহজামাল টিউবওয়েল প্রতীকে ৩০ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে ভাইস এবং জহুরা বেগম হাঁস প্রতীকে ৩০ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭৪ টি ভোট কেন্দ্রে ৩০ হাজার ৭০৩ ঘোড়া প্রতীকে ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক সোলাইমান হোসেন ২৫ হাজার ৭৬৭ ভোট পেয়েছেন।

এদিকে ইসলামপুর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন এডভোকেট আব্দুস ছালাম।

৯৩ টি ভোট কেন্দ্রে ১৮ হাজার ২৫৫ টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট পেয়ে পুনরায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল খালেক আখন্দ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক প্রতীকে ফারুক ইকবাল হিরো ৪ হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে ১২ হাজার ১২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আবিদা সুলতানা যুথি ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের আঞ্জুমানয়ারা বেগম ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৩০।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

চুয়াডাঙ্গার দুটি উপজেলাতেই নতুন মুখ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ভাস্তে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার এবং আলমডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী কে এম মঞ্জিলুর রহমান। ভোট গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ৫০ হাজার ৮১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুল হক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৩৬ হাজার ১৭২ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি, পরপর তিনবার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আসাদুল হক বিশ্বাস আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪১৯টি।

অপর দিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪০ হাজার ২৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী কে এম মঞ্জিলুর রহমান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মো. জিল্লুর রহমান ২৬ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আইয়ুব হোসেন দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৩০৬ ভোট, মো. মোমিন চৌধুরী ডাবু আনারস প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ১০৭ ভোট ও মো. নুরুল ইসলাম কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ১৪ ভোট পেয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৩৭ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার ৪০৮ জন। উপজেলার মোট ৯৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এখানে মোট প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৩৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

অপর দিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯৫ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬০৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৫ জন। উপজেলার মোট ১১৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এ উপজেলায় মোট ভোট প্রদত্ত হয়েছে ২৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

গৌরীপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী সোমনাথ সাহা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৩.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সোমনাথ সাহা আনারস প্রতীকে ৫৪ হাজার ৯২১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ মোফাজ্জল হোসেন খান দোয়াত কলম প্রতীকে ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সোহেল রানা পালকী প্রতীকে ৪২ হাজার ৫০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জহিরুল হুদা চশমা প্রতীকে ২৯ হাজার ২৩ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিলুফা ইয়াসমিন হাঁস প্রতীকে ৪১ হাজার ৩৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সালমা আক্তার প্রজাপতি প্রতীকে ২১ হাজার ৯৩৩ ভোট পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাকিল আহমেদ বেসরকারি ভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৫টি ভোট কেন্দ্রে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয় জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

উপজেলায় মোট ভোট ২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫৯ ভোট। নির্বাচনে সর্বমোট প্রদত্ত ভোট ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৫ ভোট। বৈধ ভোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৬২ টি। বাতিল ভোট ২ হাজার ৭৯৩ টি। প্রদত্ত ভোটের হার ৪১.৩৮%।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;