শঙ্কা কাটিয়ে জমে উঠেছে গ্রন্থমেলা

, জাতীয়

আকরাম হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 04:22:13

অনেক জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। মেলার আজ ষষ্ঠ দিন। প্রথমদিকে মেলায় বই প্রেমীদের উপস্থিত কম থাকলেও ধীরে ধীরে জমে উঠেছে। করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের মধ্যে মেলা হওয়ায় অনেকে আশঙ্কা করেছিল এবারের গ্রন্থমেলা প্রাণহীন হবে। থাকবে না উৎসাহ-উদ্দীপন। দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কম থাকবে। আড়ম্বরপূর্ণ হবে না এবারের বই মেলা। তবে সকল আশঙ্কা দূরে সরিয়ে জমে উঠেছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা।

নানা বয়সের পাঠকের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি জমজমাট বই মেলার প্রাঙ্গণ। প্রতি দিনই বাড়ছে মানুষের উপস্থিতি। ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি আরও বেড়ে যায়। বিকালের দিকে পাঠকদের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর তা বেড়ে যায়।

প্রকাশক ও বিক্রয় কর্মকর্তারা জানান, প্রথম দিনে দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম থাকলেও দিন দিন বাড়ছে। অন্য বছরের মতই উপস্থিতি। শেষের দিকে উপস্থিতি বাড়বে এবং বিক্রিও বেশি হবে। দর্শনার্থীদের আগমের ওপর করোনার তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি বলে মনে করছেন তারা।

জমে উঠেছে বইমেলা

আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সরেজমিনে দেখা যায, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে বইয়ের স্টল ও প্যাভিলিয়নে ঘুরে ঘুরে পছন্দের বই কিনছেন বই প্রেমীরা। তুলছেন ছবি। বসার জায়গা থাকায় বই কেনার ফাঁকে ফাঁকে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। কেউ এসেছে পরিবার নিয়ে, কেউ এসেছেন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে, কেউ বা এসেছেন আবার প্রিয় মানুষের সঙ্গে।

বান্ধবীর সঙ্গে মতিঝিল থেকে মেলায় এসেছেন আরমান হোসেন। স্টল ঘুরে ঘুরে কিনেছেন কিছু বই। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, মেলায় আসতে পেরে ভালো লাগছে। প্রতিবছরই আসা হয়। এবারও আসলাম, আরও দুই একবার আসা হবে। দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ভালো। করোনা বাড়ছে তবে মানুষের মধ্যে ভয় কমেছে। সবারই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিৎ।

মেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে কড়াকড়ি নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মাস্ক পরিহিত ছাড়া কাউকে প্রবেশদ্বার দিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বই কিনছেন বইপ্রেমীরা

মেলার ষষ্ঠ দিনে গ্রন্থ মেলায় নতুন বই এসেছে ১১৮টি। এবারের বই মেলায় প্রথম ৬ দিনে মোট বই এসেছে ৪৯৭টি।

প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলা শুরু হলেও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর বইমেলা হচ্ছে ১৮ মার্চ থেকে। চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে ছুটির দিনগুলোতে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা চলবে মেলা।

বরাবরের মত এবারও বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি স্টল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এবারের বইমেলায় মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় মোট ৩৩টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তর করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মেলাপ্রাঙ্গণে। সেখানে ১৩৫টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দের পাশাপাশি ৫টি উন্মুক্ত স্টলসহ ১৪০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর