ব্যবহারে অযোগ্য শিশুদের বিনোদন কেন্দ্রগুলো

রংপুর, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 20:54:51

আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সঠিক মেধা বিকাশের পাশাপাশি প্রতিটি শিশুর জন্য প্রয়োজন আনন্দ ও বিনোদনের। আর সেই বিনোদনের জন্য প্রয়োজন সুন্দর একটি পরিবেশের।

এরই লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে নির্মিত হয়েছিল দুটি বিনোদন কেন্দ্র। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় নষ্ট হতে চলেছে এই বিনোদন কেন্দ্রগুলো।

জানা যায়, শিশুদের বিনোদনের জন্য ১৯৬৫ সালে ৩১ শতাংশ (প্রায় ১ বিঘা) জমির উপর শহরের আশ্রমপাড়ায় নির্মাণ করা হয় একটি শিশুপার্ক। কিন্তু জায়গা অল্প হওয়ায় এখানে তেমন কোনো খেলার সরঞ্জাম বসানো হয়নি। হাতেগোনা ২টি দোলনা, ২টি স্লিপার, ২টি স্প্রিং বোর্ড ছাড়া এখানে আর কিছুই নেই। বসার জন্য সিমেন্টের তৈরি কিছু বেঞ্চ থাকলেও সেগুলো ভেঙে নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

রোববার (১১ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে শহরের আশ্রমপাড়া পার্কে গিয়ে দেখা যায়, বিনোদনের জন্য পার্কে রাখা প্রতিটি সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে গেছ। দেখাশোনার জন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পার্কের পুরো মাঠেই থাকে আবর্জনা। আর সামান্য বৃষ্টি হলে পানি জমে কাদায় ভরে যায় বলে জানা গেছে।

এখানে কথা হয় রতন ঘোষ নামে এক অভিভাবকের সঙ্গে। তিনি জানান, এখানে বাচ্চাদের খেলাধুলা করার মতো কিছুই নেই। তবুও কোনো উপায় না থাকায় বাচ্চাকে নিয়ে আসতে হয়। বিনোদন কেন্দ্রগুলো সংস্কার করা জরুরি।

স্থানীয়রা জানায়, প্রথম দিকে বিকেলে পার্কে অনেক বাচ্চারা এসে খেলাধুলা করত। কিন্তু পার্কের অবস্থা দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাই আগের মতো আর বাচ্চারা খেলতে আসে না। জরুরি ভিত্তিতে পার্কটির সংস্কার করা দরকার।

স্থানীয় বাসিন্দা কবির জানান, পার্কের রড চুরি হচ্ছে। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। এখানে আধুনিক সরঞ্জাম বসিয়ে পার্কটি ঝকঝকে করার দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন জানান, জায়গা স্বল্পতার কারণে শিশুপার্কে খেলার সামগ্রী বসানো যাচ্ছে না। মাঝে মধ্যে সংস্কার করা হয়। বড় ধরনের জায়গা পাওয়া গেলে পৌরসভায় নতুন ভাবে আধুনিক শিশুপার্ক তৈরি করা হবে।

অপরদিকে একই অবস্থায় রয়েছে জেলা পরিষদের শিশু পার্কটি। শিশুদের বিনোদনের জন্য ২০১০-১১ অর্থবছরে ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে শহরের টাঙ্গন নদীর ধারে শিশুপার্কটি নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাট, প্রাচীর নির্মাণ, প্রবেশ পথ এবং টিকিট ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ২ বছরেও এখানে কোনো রাইডার ও খেলার অন্যান্য সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়নি। পুরো মাঠে জঙ্গলে ভরে গেছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ প্রশাসক সাদেক কুরাইশি জানান, পার্কটি ভালোভাবে তৈরি করে জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা চলছে। খুব তাড়াতাড়ি এটা করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর