আবারও বিএসএফের হাতে ৩ বাংলাদেশি গ্রেফতার

, জাতীয়

আজিজুল হক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বেনাপোল(যশোর) | 2024-02-22 22:45:28

চার দিনের ব্যবধানে আবারো বেনাপোল কাস্টমস পেরিয়ে ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসে এক কেজি স্বর্ণবারসহ তিন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ।

বৃহস্পতিবার (২২ ফ্রেব্রুয়ারী) বিকেলে ভারতের ১৪৫ ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ এক বার্তায় গ্রেফতারের এ তথ্য গণমাধ্যমকর্মীদের জানায়। এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় বেনাপোল কাস্টমস পেরিয়ে ওপারে ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমস ইমিগ্রেশনে নিরাপত্তায় নিয়োজিত সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সদস্যদের হাতে তারা গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃতরা তাদের শরীরে স্বর্ণ বহন করছিল। তাদের বিরুদ্ধে স্বর্ণবার পাচার আইনে মামলা দিয়ে পেট্রাপোল থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি আড়াই কেজি ওজনের ২২ টি স্বর্ণবারসহ আমদানি পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক চালক রাজু দাস, সঞ্জিব দাসকে গ্রেফতার করে বিএসএফ। একই দিনে পাসপোর্টধারী যাত্রী রিবাউদ্দিনকে ৩টি স্বর্ণবারসহ গ্রেফতার করে বিএসএফ। এছাড়া ১৬ ফেব্রুয়ারি ৮৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বারসহ আবু বক্কর হানিফা ও জিয়া উদ্দীন নামে দুই ভারতীয় পাসপোর্টধারীকে গ্রেফতার করে বিএসএফ। ১৩ ফেব্রুয়ারি নাজরীন নাহার নামে এক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী পায়ুপথে লুকিয়ে পাচারের সময় ৪ পিস স্বর্ণেরবারসহ তাকে গ্রেফতার করে বিএসএফ।

ভারতের ২৪ পরগনা সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের পাবলিক রিলেশন অফিসার ডিআইজি শ্রী এ কে আর্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কোনো অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনো ধরনের অপরাধ ঘটতে দেবে না। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও ছাড় দেবে না বিএসএফ। চোরাচালান প্রতিরোধে সহযোগিতা কামনা করে বিএসএফ কর্মকর্তা।

জানা যায়,  বেনাপোল কাস্টমসের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে স্বর্ণ পাচারের ‘গোল্ডেন রুট’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বেনাপোল স্থলবন্দর। তবে, স্বর্ণ নিয়ে নির্বিঘ্নে বেনাপোল পার হয়ে গেলেও, পেট্রাপোলে গিয়ে প্রায় প্রতিদিন ধরা পড়ছে চোরাকারবারিরা। এদিকে পাচার রোধে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আরো জোরালো পদক্ষেপ নিলেও বাংলাদেশ কাস্টমসে এনিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই। অভিযোগ উঠেছে এসব পাচারে কার্যক্রমে কাস্টমসের নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে চোরাকারবারিদের সখ্যতা থাকতে পারে। যার কারণে স্ক্যানিং মেশিন  মেরামত বা যাত্রীর ব্যাগেজ তল্লাশিতে অনিহা রয়েছে।

জানা গেছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৪ টি স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করে। এর একটি মোবাইল স্ক্যানার স্থাপন হয় বন্দরের বাইপাস সড়কে পণ্য প্রবেশ দ্বারে। অত্যাধুনিক মেশিনটি পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র ও মিথ্যা ঘোষণার পণ্য শনাক্ত করতে সক্ষম।

এ সম্পর্কিত আরও খবর