সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালতলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার শহিদুল ইসলাম। এর আগে, সোয়া ৯টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আগুন লাগার পরপরই ৫টি ৩৩ কেভি ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- সিলেটের গোলাপগঞ্জ, বালাগঞ্জ, আম্বরখানা-১ এবং ২ ও ভাদেশ্বর ফিডার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে কুমারগাঁও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। আগুন লাগার পরই ওই কেন্দ্রের ৫টি ৩৩ কেভি ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়।
এব্যাপারে সিলেট তালতলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার শহিদুল ইসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ করে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। বড় কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
এবিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজের তার ছিঁড়ে স্পার্কিং হয় এবং আগুনের সূত্রপাত হয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডাম্পিং করে রাখা পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। আগুন লাগার পরপরই ৫টি ৩৩ কেভি ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার ভেতরে সেগুলো চালু করে দেয়া হবে ।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এসময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মহান আল্লাহ আমাদেরকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ স্থানীয় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে যাতে একটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন তৈরি করা হয় তার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।