পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়নে বাজেটে বিভিন্ন মেয়াদি পরিকল্পনা চায় সিএসই

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2024-06-02 19:41:00

আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে পুঁজিবাজারের গুণগত সম্প্রসারণ এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য যথাযথ কৌশল নির্ধারণ করে দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। একই সঙ্গে তিনি পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বাজেটে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা নির্ধারণের কথা তুলে ধরে বেশকিছ সুপারিশও প্রস্তাব করেছেন।

রোববার (২ জুন) চট্টগ্রাম কার্যালয়ে প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব সুপারিশ তুলে করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিএসইর পরিচালক এমদাদুল ইসলাম, পরিচালক মোহাম্মদ নাকিব উদ্দিন খান, পরিচালক মোহাম্মদ আক্তার পারভেজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সিইসি চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, জনসংখ্যার তুলনায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা খুবই কম। যা গত কয়েক বছর ধরে নিম্নমুখী ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার করা জরুরি। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর মূলধনী লাভের ওপর কর প্রত্যাহার এবং এক্ষেত্রে নতুন করারোপ থেকে বিরত থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জের সুবিধার্থে বিভিন্ন কৌশল নেওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে প্রচলিত অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড এবং ছোট ক্যাপ বোর্ডে তালিকাভূক্তি উৎসাহিত করতে ৩ বছরের জন্য কর অব্যাহতি প্রদান করা যেতে পারে। এছাড়া কমোডিটি এবং ইকুইটি ডেরিভেটিভ সহজভাবে চালু করতে বিনিয়োগকৃত হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের ওপর সকল ধরনের কর প্রত্যাহার এবং সহজভাবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করতে কমোডিটি এক্সচেঞ্জে পাঁচ বছরের জন্য কর অব্যাহতি প্রদান করা জরুরি।

ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি করতে গেলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বৃদ্ধি, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার হ্রাস, মূলধনী লাভকে কর অব্যাহতি প্রদান এবং লভ্যাংশ আয়কে করমুক্ত করার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন আসিফ ইব্রাহিম।

এময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে দেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের এমডি সাইফুর রহমান মজুমদার। তিনি বলেন, দেশের করপোরেট ফিন্যান্সিংটা ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। এর ফলে কিছু মিসম্যাচ দেখা যাচ্ছে। যদি ক্যাপিটাল মার্কেটকে একটা টেকসই অবকাঠামো দিতে না পারি তাহলে ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা সেটা কমানো সম্ভব হবে না। আর সেখান থেকে সরে আসতে গেলে একটি শক্তিশালী বাজার কাঠামো দরকার। আর শক্তিশালী বাজার কাঠামো করতে গেলে ক্যাপিটাল মার্কেটের যে উইংগুলো আছে সেগুলো শক্তিশালী করতে হবে। ক্যাপিটাল মার্কেটের একটা যুতসই সম্প্রসারণ দরকার। আর সেই সম্প্রসারণের জন্য যে কৌশল সেটা বাজেট কাঠামোর মধ্যে নিতে হবে।

সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, বর্তমান পুঁজিবাজার ইকুইটি মার্কেট নির্ভর বাজার হওয়ায় বাজারে যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, তেমনি এটি পুঁজিবাজার সম্প্রসারণের অন্তরায়। এই লক্ষ্যে কার্যকর কৌশলের মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতি সমসাময়িক কান্ট্রিগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে মার্কেট ক্যাপ জিডিপি রেশিও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্থানীয় এবং বিদেশী বিনিয়োগে উৎসাহিত করার একটি প্যারামিটার হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর