কোনো সুবিধাই পাচ্ছেন না পদকজয়ী কৃষকরা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা এআইপি সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে ২০২০ সাল থেকে। এবারও পাঁচ ক্যাটেগরিতে সিআইপি মর্যাদার এ পুরস্কার পেয়েছেন ২২ জন।

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ সম্মাননা তুলে দেন। তবে ২০২০ সালের পদকজয়ী ১৩ জন পড়েছেন বিপাকে।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, তাদের যেসব সরকারি সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল, তার কিছুই জোটেনি। এদিন সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসে বেশ কয়েকজন এ হতাশা প্রকাশ করেন।

এই কৃষি উদ্যোক্তারা অভিযোগ করেন যে, কৃষি মন্ত্রণালয় পদক হাতে তুলে দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে। যেসব সরকারি সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল, তার কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো এসব সুবিধা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। নীতিমালা শুধু কাগজেই আছে, বাস্তবে নেই। নতুন করে যারা এই পদক পেয়েছেন, তারাও সুবিধা নিতে গিয়ে নানা হেনস্তার শিকার হবেন বলে শঙ্কা অনেকের।

রবিবারের অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। এ সময় এআইপিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষি মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে এআইপি নীতিমালা প্রণয়ন করে। তার আলোকে প্রথমবার ২০২০ সালে ১৩ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনও জারি হয়।

এতে বলা হয়েছিল, এআইপি পদকপ্রাপ্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র, সচিবালয়ে প্রবেশ পাস, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ; বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার এবং নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধাপ্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার থাকবে।

এ ছাড়া তারা বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পান। তবে ইতোমধ্যে যারা এ পদক পেয়েছেন, তাদের কেউই এমন সুবিধা পাননি।

নাটোরের সফল কৃষি উদ্যোক্তা সেলিম রেজা ২০০ বিঘা জমিতে ‘দৃষ্টান্ত এগ্রো ফার্ম অ্যান্ড নার্সারি’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ২০২০ সালে এআইপি পদক পেয়েছেন। পদকপ্রাপ্তির সুবিধাগুলো নিতে এক বছরের জন্য তাকে একটি কার্ডও দেওয়া হয়েছিল। তবে এই কার্ড দেখিয়ে সুবিধা নিতে গেলে উল্টো তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সেলিম রেজা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পদকজয়ী বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কখনোই কোনো সুবিধা পাওয়া যায়নি, বরং হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে গেলে কর্তৃপক্ষ বলছে, এ রকম কোনো নির্দেশনা নেই। সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। কোনো কর্তৃপক্ষই কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনার কথা জানে না।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এআইপি পদকপ্রাপ্তরা কী কী সুবিধা পাবেন, তা জানা নেই। যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল, তা কেন পাচ্ছেন না, তা খতিয়ে দেখব। এ বিষয়ে পুনরায় কোনো নির্দেশনা দেওয়ার প্রয়োজন হলেও তা করব। পদকজয়ী কৃষকদের সম্মানিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।