খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, খুলনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি/ বার্তা২৪.কম

ছবি: খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি/ বার্তা২৪.কম

অস্থায়ীভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

রোববার (৭ জুলাই) খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়ের সামনে ৬ষ্ঠ দিনের মতো চলা অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা কর্মবিরতিতে সমিতির প্রধান কার্যালয়সহ সকল জোনাল ও সাব-জোনাল অফিসের শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করে।

বিজ্ঞাপন

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বেতন বৈষম্য, মানহীন ও নিম্নমানের মালামালের কারণে ভঙ্গুর বিতরণ ব্যবস্থা নিরসনসহ অভিন্ন চাকরিবিধি এবং অস্থায়ীভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মবিরতি পালন করছে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

অনুষ্ঠিত এ প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম ওএন্ডএম মো. বিদ্যুৎ মল্লিক, এজিএম এইচআর মো. আতাউর, এজিএম ইএন্ডসি মো. আলমাস উদ্দিন, এজিএম ওএন্ডএম আব্দুল মুনিম, এজিএম প্রশাসন মো. রাশেদুজ্জামান, এজিএম আইটি মো. সাইখুল ইসলাম, লাইনম্যান হাসিব, মিটার রিডার মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈত নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে তারা। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্য দূরীকরণ ও অভিন্ন সার্ভিস কোড অবশ্যই প্রয়োজন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান আন্দোলনরতরা।

এ সময় বক্তারা আরো বলেন, বিদ্যমান বৈষম্যগুলো দূর করে বাপবিবো এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একই সার্ভিস কোড পরিচালনা করা, ৫ শতাংশ প্রণোদনা ২৩ জুলাই থেকে কার্যকর, ২০১৫ সালের পে-জুলাই-১৫ থেকে সমধাপে কার্যকর, ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল ভাতা, দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম/ডিস্টারবেন্স অ্যালাউন্স, চিকিৎসা ভাতা, অডিটের নামে হয়রানি না করাসহ সরকার প্রদত্ত সকল সুযোগ-সুবিধা বিআরইবির ন্যায় সমিতির জন্যও বাস্তবায়ন চান তারা।