ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, সিলেটে অপেক্ষায় যাত্রীরা 

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট | 2024-06-27 08:47:39

চট্রগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ২ বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। স্টেশনে স্টেশনে যাত্রীরা আটকা পড়েছেন।

বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা পৌণে সাতটার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুর এলাকায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দুটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো আটকা পড়েছে। 

এদিকে, রাত ১০টার দিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীরা ট্রেনের অপেক্ষা করছেন। অনেকে ট্রেন সঠিক সময়ে না আসায় বিকল পথ হিসেবে বাস ও মাইক্রোবাসে যাত্রা শুরু করেছেন। আবার কেউ কেউ বসে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন।

ট্রেনের অপেক্ষমান যাত্রী মোহাম্মদ খোকন বলেন, আখাউড়া যাওয়ার জন্য এসেছি। রাত ১০টায় ট্রেনে যাত্রা শুরু কথা থাকলেও ট্রেন এখনো আসেনি। কর্তৃপক্ষ বলছে অপেক্ষা করার জন্য। তাই এখানে বসে আছি।

কুলাউড়া যাওয়ার জন্য একইভাবে অপেক্ষা করছিলেন আনহার মিয়া। তিনি বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকায় ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কখন ট্রেন আসবে আর কখন বাড়ি যাব জানি না।

সালেহ আহমেদ নামে একজন বলেন, চট্রগ্রাম যেতে ট্রেনের অপেক্ষায় আছি। ট্রেন আসতে দেরি হবে। টিকিট কেটে ফেলেছি। এখন আর কি করবো অপেক্ষা করি দেখি কখন ট্রেন আসে।

যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, সিলেট রেল স্টেশন থেকে কুলাউড়াগামী বাস ও মাইক্রোবাসে ৫০-১০০ টাকা বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। চালকদের দাবি গাড়ি কম থাকায় তারা ৫০-১০০ টাকা ভাড়া বেশি ভাড়া নিচ্ছেন।

সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের ৬টি বগি মোগলাবাজার রেলস্টেশন নিয়ে আসা হয়েছে। বাকিগুলো মাইজগাঁও রেলস্টেশনে নিয়ে রাখার কাজ চলছে। উদ্ধার কাজে আনুমানিক আরও ১-২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

এই রিপোর্ট রাত পৌণে ১১টায় লেখা পর্যন্ত ট্রেনের লাইন স্বাভাবিক হয়নি। উদ্ধার কাজ চলছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর