খড়ের গাদায় আগুন লাগায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আহত ১০



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ত্রিশালে খড়ের গাদায় আগুন দেয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে কুপিয়ে মিলন মিয়া (৪০) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই আহত হয়েছে নারী-পুরুষসহ ১০ জন।

সোমবার (১ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।

এর আগে ওই দিন ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার হরিরাপুর ইউনিয়নের চাউলাদি নামাপাড়া সরকার বাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মিলন মিয়া ওই এলাকার মন্তাজ উদ্দিন গুইল্লার ছেলে। মন্তাজ উদ্দিন গুইল্লা শ্বশুর নাজিম উদ্দিন সরকারের বাড়িতে বসবাস করেন।

ত্রিশাল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ দুলাল বলেন, স্থানীয় ভুট্টু ও হাবু রেজু সাহার সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন রাত আড়াইটার নিহত মিলন মিয়ার মামা ভুট্টুর খড়ের গাদায় কে বা আগুন ধরিয়ে দেয়। এ কারণে ভুট্টু মিয়া হাবু রেজু সাহাকে সন্দেহ করে গালাগালি করতে থাকেন। এতে হাবু রেজু সাহা ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ভুট্টু মিয়ার পরিবার ও মিলন মিয়ার উপর হামলা করে। এতে মিলন মিয়াসহ ভুট্টুর পরিবারের ১১ জন আহত হয়।

এসময় স্থানীয়রা টের পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে মিলন মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখান থেকে ঢাকা নেয়ার পথে মিলন মিয়া মারা যায়। পরে মিলন মিয়ার মরদেহ গাড়িতে করে নিয়ে বিকালে ত্রিশাল থানায় নিয়ে আসেন তার স্বজনরা।

ত্রিশাল থানার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, মরদেহ করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজারে বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
নিহত শিশু মো. রাকিব (৭)/ ছবি: সংগৃহীত

নিহত শিশু মো. রাকিব (৭)/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিনের টানা বর্ষণে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় সৃষ্ট বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে জালে আটকে মো. রাকিব (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৩ জলাই) বিকাল চারটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু রাকিব উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মরিচ‍্যা এলাকার আলি আকবরের ছেলে।

হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বাড়ির পাশে রাস্তার কালভার্টের নিচে মাছ ধরার জন‍্য তার বাবার পাতানো জালে মাছ লেগেছে কি না দেখতে যায় রাকিব। একপর্যায়ে পানির স্রোতের সঙ্গে সে জালের ভেতর ঢুকে আটকা পড়ে এবং জাল থেকে বের হতে না পেরে সেখানেই মারা যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

;

কোটা ব্যবস্থা বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনে বাধাগ্রস্থ করছে: জিএম কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠন বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য চাকরি লাভে বিশেষ বড় অংকের কোটায় চিরস্থায়ী বন্ধবস্ত করা হয়েছে। যা স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য বৈষম্যমুক্ত ন্যায়বিচার ভিক্তিক সমাজ গঠন বাধাগ্রস্থ করে বলে মনে করি।

বুধবার (৩ জুলাই) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

জিএম কাদের বলেন, একথা যেন আমরা ভূুলে না যাই যে, এ দেশের মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম আন্দোলনে জয়লাভের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে ও যে কোনো পর্যায় যেতে প্রস্তুত থাকে। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের মূল অর্জন সংবিধান, সেখানে সুযোগ সুবিধাদির ক্ষেত্রে সাম্যের কথা বলা হয়েছে। আমাদের শহীদ মিনার বৈষম্য থেকে মুক্তি সংগ্রামের আত্মত্যাগের প্রতীক। আমাদের জাতীয় স্মৃতিশৌধ বৈষম্যহীন ন্যায় বিচারভিক্তিক নিজস্ব দেশে গঠনে অঙ্গীকারের প্রতীক।

কোটা পদ্ধতি নিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শ্রেণি, তৃতীয় শ্রেণি এবং চতুর্থ শ্রেণিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ কোটি ছিল। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতী গোষ্ঠির মানুষদের জন্য এবং এক শতাংশ প্রতিবন্ধিদের জন্য সংরক্ষিত কোটা। বাকি ৪৪ শতাংশ মেধায় নিয়োগ দেওয়া হতো। ২০১৮ সালে ছাত্রদের দাবি ছিল সরকারি চাকরিতে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি থেকে শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ১ম ও ২য় শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রে সকল কোটা পদ্ধতি বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করে। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পূর্বের ন্যায় কোটা পদ্ধতি বহাল থাকে।

বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করে। গত ৫ জুন রিটের রায় প্রকাশ করে আদালত। সেখানে জনপ্রশাসন কর্তৃক পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত অংশটির বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করেন। ফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চকরি প্রত্যাশি ও সাধারণ শক্ষার্থীরা সরকারের জারি করা সেই পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে পূনরায় মাঠে নামছে। যা নতুন সংকট সৃষ্টি করছে।

পুরান ঢাকার ৩৩নং ওয়ার্ডে মিরনজিল্লাহ হরিজন সুইপার কলোনী উচ্ছেদ প্রচেষ্টার কঠোর সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, হরিজনদের উচ্ছেদ করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে কিছু ঘর-বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অন্য বাড়িগুলো ভাঙার সময় বাচ্চারা রাস্তায় শুয়ে পড়েছিল। তখনই তাদের হুমকি দেওয়া হয় পরবর্তীতে আরো ঘর-বাড়ি ভেঙে দেওয়ার হবে। সিটি কর্পোরেশনে যারা চাকরি করে তাদের চাকুরিচ্যুত করা হবে।

তিনি বলেন, এই উচ্ছেদের উদ্দেশ্য হলো, সেখানে মার্কেট করা। বৃটিশ আমল থেকে বসবাসরত এই পরিবার গুলোকে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ খুবই অমানবিক। এ মুহুর্তে মার্কেট তৈরির উদ্দেশ্যে অবহেলিত, অসহায়, অস্পৃশ্য পরিবারগুলোকে তাদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করলে তা শুধু সরকারকে নয়, জাতিকে কলংকিত করবে। তাদেরকে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ বন্ধ এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ এর ২০২৩ সালের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এখনও সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধ হয়নি। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপিড়নে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মুসলিম জনগোষ্ঠির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠির সদস্যদের ব্যবহার করে হয়রানি করা হচ্ছে। নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

;

জামালপুরে বাড়ছে নদীর পানি, বন্ধ হচ্ছে যোগাযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ব্রীজের পাশের মাটি সরে দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন/ছবি: বার্তা২৪.কম

ব্রীজের পাশের মাটি সরে দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে জামালপুরের বিভিন্ন নদ নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৯১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ।

বুধবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে আজ সন্ধ্যার দিকে পানির স্রোতে দেওয়ানগঞ্জ থেকে খোলাবাড়ি যাওয়ার প্রধান সড়কের ব্রীজের পাশের মাটি সরে যায়। এতে দুইপাশের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি, নিচু এলাকা।

অপর দিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ রক্ষা বাঁধ না থাকায় ইসলামপুরের চিনাডুলী ও পার্থশী ইউনিয়নের ২০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।

এছাড়া পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাট, আখসহ ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে জানান, বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের জামালপুরের জামথল ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আরও তিন থেকে চারদিন পানি বৃদ্ধি হতে পারে বলেও জানান তিনি।

;

থানা হাজতে আসামির ঝুলন্ত মরদেহ, তদন্তে কমিটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
থানা হাজত

থানা হাজত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা হাজত থেকে মো. জুয়েল (২৬) নামের এক আসামির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে নগর পুলিশের (সিএমপি) উত্তর বিভাগ এ কমিটি গঠন করে।

কমিটির সদস্যরা হলেন- সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) মো. জাহাঙ্গীর, সহকারী কমিশনার (পাঁচলাইশ) আরিফ হোসেন ও পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) মো. মোখলেসুর রহমান।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় থানা পুলিশের দায়িত্বের কোনো অবহেলা হয়েছে কিনা-সেটা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এর আগে, বুধবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা হাজতের দেয়ালের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আসামি জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, জুয়েলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত সাতটি মামলা রয়েছে। তার বাসা নগরীর চান্দগাঁওয়ের খেজুরতলা এলাকায়।

চান্দগাঁও থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকা থেকে পরোয়ানামূলে জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে হাজতে রাখা হয়েছিল। সকালে তার লাশ পাওয়া যায়।

ওসি আরও বলেন, হাজতখানার ভেতরে ভেন্টিলেটরের সঙ্গে নিজের পরনের শার্ট ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেন জুয়েল। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে জুয়েলের মৃত্যুর খবর পেয়ে থানায় ছুটে যান তার মা মিনারা বেগম ও বড় বোন সালমা আক্তার। সেখানে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সালমা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, তিন দিন আগে তার ভাই বাসার বাথরুমে পরনের বেল্ট ঝুলিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন, তাদের কারণে পারেননি।

তিনি বলেন, আমার ভাই আগে খারাপ ছিল। ভালো হওয়ার চেষ্টা করছিল। কিস্তিতে তাকে একটি অটোরিকশা কিনে দিয়েছিল মা। ভাই চালায়নি। ভাড়ায় আরেকটি গাড়ি চালাচ্ছিল। মা ও ভাইয়ের কাছে ৬০ হাজার টাকার বেশি পেত পাওনাদাররা।

;