বারিধারায় কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা, তদন্ত কতদূর এগোলো

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-06-28 17:24:33

রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম নিহতের ঘটনা তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত শামীমকে প্রধান করে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। অন্য দুই সদস্য হলেন সদস্যসচিব ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. এলিন চৌধুরী ও সদস্য আইএডি বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আশফাক আহমেদ।

কমিটিকে সাত কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছিলো। তবে এখনো তদন্ত শেষ করতে পারেনি তারা। বেঁধে দেওয়া সাতদিনের সময় শেষ হওয়ার পরে আর ১০ দিন সময়ে চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। ডিএমপি কমিশনার আরও ১০ কর্মদিবস সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন।

গত ৯ জুন রাত ১২টার দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনের নিরাপত্তার গার্ড রুমে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির ‍প্রধান গুলশানের ডিসি রিফাত শামীম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের কাজ প্রায় শেষ। আগামী দু একদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের কাজ শেষের পথে।

১০ দিন সময় বাড়ানো হয়েছিলো। এই সময়ের মধ্যেই তদন্ত শেষ হবে কি না জানতে চাইলে রিফাত শামীম বলেন, ১০ দিনের আগেই আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কাজ করছি। সেই কাজও প্রায় শেষের দিকে। ডিএমপি সদর দফতর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরে স্যাররা আপনাদের জানাবে। আসলে এখানে গোপন করার কিছু নেই। আশা করি দ্রুতেই সব কিছুই আপনারা জানতে পারবেন। স্যাররা আপনাদের সব জানাবে।

সহকর্মীকে গুলির ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবল কাওসার আলী সাত দিনের রিমান্ড শেষে বর্তমানে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে অভিযুক্ত কাওসারের পরিবার দাবি করেছিলো মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন কনস্টেবল কাওসার। তার স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমীন দাবি করেন, রাঙ্গামাটির বরকলে চাকরি করার সময় তিনি মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এরপর বিভিন্ন সময় সরকারিভাবেই তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে অন্তত তিনবার চিকিৎসা করানো হয়েছিল। নিয়মিত ওষুধও সেবন করতেন। কাওসারের কাছে প্রেসক্রিপশনও আছে। কিছুদিন ধরে কাওসার খুবই কম কথা বলতেন।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলীর ছেলে কাওসার আলী। ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর