হাড্ডিগুড্ডি ভাঙি ফেলাইয়্যম, গুঁড়ি গরি ফেলাইয়্যম: আ. লীগ নেতাকে সাবেক এমপি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর

বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর

  • Font increase
  • Font Decrease

হাড্ডিগুড্ডি ভাঙি ফেলাইয়্যম, গুঁড়ি গরি ফেলাইয়্যম-চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এভাবেই মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুরকে। বরাবরের মতো মোস্তাফিজের সেই গালিগালাজের অডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।

ঘটনার সূত্রপাত ২৯ জুন (শনিবার) উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় আবদুল গফুরের একটি বক্তব্যকে ঘিরে। ওই বক্তব্যে দলীয় কার্যালয় নির্মাণে সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বিভিন্ন চেয়ারম্যানের কাছ থেকে চাঁদা নেন বলে অভিযোগ করেন। গফুরের এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। পরদিন ৩০ জুন গফুরকে ফোন করে সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটান মোস্তাফিজুর।

ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ওই কথোপকথনের শুরুতে গফুর মোস্তাফিজুর রহমানকে সালাম ও নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, আমার ওই ফোনে চার্জ নেই। এরপর মোস্তাফিজুর রহমান সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ করে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলতে থাকেন ‘কাল (২৯ জুন) এগুলো কী বলেছিস? আমি কার থেকে চাঁদা নিয়েছি পার্টি অফিস বানানোর জন্য?

জবাবে গফুর বলেন, ওগুলো তো চেয়ারম্যানরা বলছেন। উত্তেজিত হয়ে গালি দিয়ে মোস্তাফিজুর বলেন, চেয়ারম্যানরা বলছে, আমার কাছ থেকে জিজ্ঞেস করবি না, প্রমাণ দে না।’ গফুর আবারও বলেন, চেয়ারম্যানরা সবাই বলছেন তো। তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। আমি এত দিন আপনাকে বলিনি।

তখন গালিগালাজ করে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোন... (ছাপার অযোগ্য) কাছ থেকে টাকা নিয়েছি তার (ছাপার অযোগ্য) প্রমাণ দেখাতে বল। নইলে তোকে এসে হাড্ডি (হাড়) ভেঙে ফেলব আমি। গফুর আবার বলেন, চেয়ারম্যানরা সবাই এখন বলছেন তো।

মোস্তাফিজুর রহমান উত্তেজিত হয়ে আবার গালিগালাজ শুরু করেন। তিনি বলেন, যে বলেছে তাকে আমার সামনে নিয়ে আয়। চাঁদা নিয়েছি এটা প্রমাণ দিতে হবে।

একপর্যায়ে মোস্তাফিজুর বলেন, তুই এখনো আমাকে চিনস নাই। আমি এলে তোর হাড় গুঁড়ো করে ফেলব। এরপর গফুরের মাকে জড়িয়ে প্রকাশ অযোগ্য গালি দেন মোস্তাফিজুর। জবাবে গফুর বলেন, গালি দিলে আমাকে দেবেন, আমার মা-বাবাকে নিয়ে কথা বলেন। এটা তো ভালো না। তখন মোস্তাফিজুর আরও ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, মা-বাবা এরকম ছেলে জন্ম দিসে কেন?

এখানেই থামেননি মোস্তাফিজুর রহমান। গালি দিয়ে আবার মোস্তাফিজুর বলেন, তোকে বাঁশখালী কলেজে ঢুকিয়েছি আমি। হয় কি না, তুই কোরআন ধরে শপথ করে বল না। আমি আগে চট্টগ্রাম আসি। সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক। ২৯ জুন অনুষ্ঠিত দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর যে সভায় গফুর বক্তব্য দেন, সেখানে বর্তমান সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন।

ওই সভায় আবদুল গফুর বলেন, সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বুঝাতে চেষ্টা করেছেন নিজের বাড়ি না করে তিনি দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করেছেন। অথচ এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভণ্ডামি।

মিথ্যার উপরই সাবেক এমপির জন্ম আখ্যা দিয়ে আবদুল গফুর সেদিন আরও বলেন, দলীয় কার্যালয় নির্মাণে সাবেক এমপি ব্যাপক চাঁদাবাজি করেছেন। খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা, সাবেক চেয়ারম্যান বদরুদ্দীন চৌধুরীর কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা, কাথরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইবনে আমিনের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা, পুকুরিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা মাহবু্ব আলীর কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালীব সাদলীর কাছ থেকে ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে অফিস সংলগ্ন ছড়ায় গাইড ওয়াল নির্মাণ করেন মোস্তাফিজ। এভাবে আরও বহু মানুষের কাছে টাকা নিয়েছেন সাবেক এমপি মোস্তাফিজ।

মোস্তাফিজের এমন ব্যবহারে মর্মাহত হয়েছেন আবদুল গফুর। তিনি বলেন, আমি সেদিন চেয়ারম্যানদের অভিযোগের বিষয়টি সভায় তুলে ধরেছিলাম। সেজন্য আমার মা-বাবাকে জড়িয়ে গালিগালাজ করেছেন আমার সভাপতি। আমি তার এমন আচরণে খুবই মর্মাহত হয়েছি।

সাধারণ সম্পাদককে গালি দেওয়ার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেননি মোস্তাফিজুর রহমান।

অবশ্য এর আগেও বিভিন্ন নেতাকে গালিগালাজ করে ভাইরাল হয়েছিলেন মোস্তাফিজুর। একবার গাড়িতে চড়তে চড়তে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে জড়িয়ে বিভিন্ন অপ্রীতিকর কথা বলেন মোস্তাফিজুর। পেছন থেকে সেটি একজন ভিডিও করে ছড়িয়ে দেন। তখনও মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরে প্রকাশ্যে পিস্তল হাতে মিছিল করেও সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। এরপরও সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তবে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ করায় ভোটগ্রহণের শেষ মুহূর্তে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়। এই আসনে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান।

সিএমপিতে ৩২তম কমিশনার সাইফুল ইসলামের যোগদান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
উপ-মহাপরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম।

উপ-মহাপরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ৩২তম কমিশনার হিসেবে যোগদান করেছেন উপ-মহাপরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) সিএমপির সদর দফতরে তিনি যোগদান করলে সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নবনিযুক্ত কমিশনারকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন।

পরবর্তীতে দামপাড়ার সিএমপি সদর দফতরে পুলিশের একটি চৌকশ দল সশস্ত্র সালাম প্রদান করেন। এরপর নবনিযুক্ত সিএমপি কমিশনার দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের জনক চত্বরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মাসুদ আহাম্মদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আব্দুল ওয়ারীশ প্রমুখ।

এর আগে ২৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব সিরাজাম মুনিরা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. সাইফুল ইসলামকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়।

সিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম পাবনা জেলার একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০০১ সালে ২০তম বিসিএস-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। সিএমপিতে যোগদানের পূর্বে তিনি এমআরটি পুলিশের ডিআইজি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি বরিশাল ও বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

;

দুই দেশের সম্পর্ক এখন অভূতপূর্ব উন্নত হয়েছে: ভারতীয় নৌপ্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
পদক তুলে দিচ্ছেন ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার।

পদক তুলে দিচ্ছেন ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার।

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অভূতপূর্ব উন্নতি লাভ করেছে। দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যকার অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় মহড়াসমূহ পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কেরই প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন, ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠী।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমিতে ‘মিডশিপম্যান ২০২১ বি ব্যাচ’ এবং ‘ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২৪’ ব্যাচের গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এসময় তিনি তার বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান দীনেশ কুমার তার বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেই সঙ্গে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয়দের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অভূতপূর্ব উন্নতি লাভ করেছে। দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যকার অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় মহড়াসমূহ পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কেরই প্রতিফলন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০২১ বি ব্যাচের ৫৭ জন মিডশিপম্যান এবং ২০২৪-এ ব্যাচের ১২ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৬৯ নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন। তাদের মধ্যে ৯ জন নারী মিডশিপম্যান এবং একজন নারী ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার রয়েছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারীদের হাতে পদক তুলে দেন।

মিডশিপম্যান ২০২১ বি ব্যাচের মিডশিপম্যান মুনকাসীর আবেদীন আলভী সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী সেরা চৌকশ মিডশিপম্যান হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ অর্জন করেন।

এছাড়া মিডশিপম্যান মো. তাওসিফ উল হক, (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী হিসেবে ‘নৌ প্রধান স্বর্ণপদক’ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২৪এ ব্যাচের অ্যাক্টিং সাব লেফটেন্যান্ট মোনাজাত-ই জান্নাত সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী হিসেবে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক’ পান।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা, ভারতীয় প্রতিনিধি দল এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

;

৩০ জেলায় ২ লাখ ৩৭ হাজার টয়লেট নির্মাণ করেছে পিকেএসএফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ প্রায় নির্মূল হলেও মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে দেশের ৩০ জেলায় ২ লাখ ৩৭ হাজার নিরাপদ ব্যবস্থাপনা টয়লেট নির্মাণ সম্পন্ন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁও পিকেএসএফ ভবনে আয়োজিত প্রকল্পটির তৃতীয় বার্ষিক সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ প্রায় নির্মূল হলেও স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ ব্যবস্থাপনাসম্পন্ন টয়লেট ব্যবহারের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজি-এর ৬নং লক্ষ্যপূরণে (বিশুদ্ধ, সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন) ২০২১ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ‘মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি’ শীর্ষক একটি বিশেষায়িত প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে নিয়োজিত পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর তত্ত্বাবধানে দেশের ৩০টি জেলায় ইতিমধ্যে ২ লাখ ৩৭ হাজার নিরাপদ ব্যবস্থাপনায় দুই গর্ত বিশিষ্ট টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। এ সময় ৬০ হাজার বাড়িতে নিরাপদ ব্যবস্থাপনায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থাও স্থাপন করা হয়েছে।

সভায় পিকেএসএফ-এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে পাঁচ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পটি পিকেএসএফ-এর ৮৭টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে দেশের ৮টি বিভাগের ১৮২টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এ সমন্বয় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন স্পেশালিস্ট রোকেয়া আহমেদ এবং পিকেএসএফ-এর মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. আবদুল মতীন বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন বিষয়ক বিভিন্ন দিক নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন।

এছাড়া, প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাফল্য পাওয়ায় ১১টি সহযোগী সংস্থার ২০টি শাখাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

;

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধের মৃত্যু, আহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধের মৃত্যু/ছবি: সংগৃহীত

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধের মৃত্যু/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ভীস্ম দেব রায় (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) বিকেলে ওই বৃদ্ধ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এর আগে সকাল ১১টার দিকে নীলফামারীর সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া ইন্দ্রমোহনপাড়া এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বৃদ্ধ ভীস্ম দেব রায় ওই এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ভীস্ম দেব রায়ের ভাই ফুল কুমার রায় ও ভাতিজা মিলন চন্দ্র রায়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একই এলাকার জাহিদুল ইসলাম, পিয়ারুল ইসলাম ‍ও মো. হুমায়ুন সঙ্গে এক খণ্ড জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল নিহত ভীস্ম দেব রায়ের। পরে ভীস্ম দেব রায় বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক উক্ত মামলার রায় তার পক্ষে প্রদান করে জাহিদুলদেরকে জমিটি ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ প্রদান করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে সেই জমিতে ভীস্ম দেব রায় স্থানীয় কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ধান রোপণ করতে যায়। সেই সময় জাহিদুল আরও লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে জমিতে এসে তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় জাহিদুল কাঁঠের পাড় দিয়ে ভীস্ম দেব রায়ের মাথা আঘাত করেন ও হুমায়ুনের লোহার রড দিয়ে ভীস্ম দেব রায়ের ভাতিজা মিলন চন্দ্র রায়ের মাথায় আঘাত করেন। আর পিয়ারুল ইসলাম ভীস্ম দেব রায়ের ভাই ফুল কুমার রায়ে হাত ভেঙ্গে দেন। এরপর বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান তারা।

শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক ভীস্ম দেব রায়কে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।

নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। আহত রয়েছেন আরও দুইজন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

;