খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি | 2024-07-01 17:02:23

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকির মধ্যেও বসবাস করছে হাজারের বেশি পরিবার। গতকাল রোববার (৩০ জুন) রাত থেকে ভারি বর্ষণ শুরু হলে সোমবার (১ জুলাই) সকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু হয়েছে।

এদিন দুপুরে খাগড়াছড়ি সদরের শালবন, কুমিল্লাটিলা, সবুজবাগ ও মোহাম্মদপুরে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে যান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করা হয়।

এদিকে বিকেল ৪টার দিকে শালবনে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম জানান, খাগড়াছড়ি পৌর শহরের দশটিসহ জেলা সদরের পাহাড় ধসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং বন্যা কবলিত এলাকার জন্য আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকাল থেকে বৃষ্টি কম হওয়ায় কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চাচ্ছে না।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম জানান, বৃষ্টি শুরুর পর থেকে শালবনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। দুইটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত থাকলেও গবাদী পশু নিয়ে বিপাকে পড়ার কথা বলে কেউ যাচ্ছেনা।

এদিকে, পাহাড় ধসে খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলায় কত পরিবার ঝুঁকিতে আছে তার প্রকৃত কোনো তথ্য নেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। তবে এ সংখ্যা হাজারের উপরে বলে দাবি স্থানীয় পরিবেশবীদদের।

খাগড়াছড়ি পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ২০১৭ সালে ভয়াবহ পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহানী হলেও সচেতনতা বাড়েনি। এখনও মানুষ পাহাড় কেটে বসতি গড়ছে। স্থানীয় প্রশাসনকে আরও তৎপর হতে হবে। না হয় অদূর ভবিষ্যতে এখানে ভয়াবহ বিপর্যয় নেবে আসবে।

এছড়া গতকার রাত থেকে ভারি বর্ষণে খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক সড়কের মহালছড়ি ২৪ মাইল এলাকায় সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে এ সড়ক ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়েন। তবে বিকেল ৩টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর