বংশীয় গরুসহ সাদিক অ্যাগ্রোর ব্রাহমা জাতের ৬টি পশু জব্দ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-07-03 15:08:46

কোরবানির ঈদে আলোচনায় আসা কোটি টাকার বংশীয় গরুসহ সাদিক অ্যাগ্রোর আমদানি করা ব্রাহমা জাতের ৬টি গরু জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন কাঠের পুলের ১৬ নম্বর রোডে সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান চালিয়ে গরুগুলো উদ্ধার করা হয়। ভুয়া তথ্যে এসব গরু ২০২১ সালে আমদানি করে সাদিক অ্যাগ্রো বলে জানা গেছে।

২০২১ সালে ফ্রিজিয়ান গরু বলে ব্রাহমা জাতের গরুগুলো আমদানি করেছিল সাদিক অ্যাগ্রো বলে জানিয়েছে দুদক সূত্র। পরে বিমানবন্দর কাস্টমস তা জব্দ করে প্রাণি সম্পদ অধিদফতরকে তত্ত্বাবধানের জন্য হস্তান্তর করে। আলোচনা আছে, কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে জব্দ থাকা আমদানি নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরুগুলো দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নামমাত্র মূল্যে নিলামে কিনে নেন বাংলাদেশি কাউবয় নামে খ্যাত ইমরান হোসেন।

এমন অভিযোগে গত সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালামের নেতৃত্বে তিনটি টিম সাভার কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামার এবং সাদিক অ্যাগ্রোর সাভার, মোহাম্মদপুর ও নরসিংদী ফার্মে দিনভর অভিযান চালায়।

অভিযানে সাভারে সাদিক অ্যাগ্রোর একটি শেডে ৫টি ব্রাহমা প্রজাতির গরু ও ৭টি বাছুরের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে মঙ্গলবার বিমানবন্দর কাস্টমসেও অভিযান চালায় দুদক।

সাদিক এগ্রোর কর্ণধার ইমরান হোসেন। সদ্য শেষ হওয়া কোরবানির ঈদে তিনি আলোচনায় আসেন কোটি টাকার বংশীয় গরু ও ১৫ লাখ টাকার খাসি নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মারফতে খবর বের হয় খাসিটি ১২ লাখ টাকায় মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক যুবক কিনেছেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রেতাকে নিয়ে চলে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। শেষ মুহূর্তে জানা যায় বুকিং মানি দিলেও খাসিটি নেননি ক্রেতা।

সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক ইমরান হোসেন গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি। আলোচনা আছে, মাঝারি খামারিদের প্রলোভন দেখিয়ে কোরবানির সময় গরুর দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে নানা কৌশল অবলম্বন করে থাকে। ফলে ক্রেতারা গরু কিনতে অনুৎসাহিত হয়ে পড়েন। এতে প্রান্তিক খামারিদের অনেক গরু অবিক্রিত থেকে যায়। পড়ে এই মাঝারি খামারিরা ওই গরু কিনে এনে এক বছর পর বেশি দামে বিক্রি করে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর