সেতুর নাট খোলার সময় দুই চোরকে আটক করে পুলিশে দিল গ্রামবাসী

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2024-07-03 18:23:26

রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জের বরাতি সেতুর নাট চুরি করার সময় হাতে নাতে দুই চোরকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশেr কাছে তাদেরকে সোর্পদ করা হয়।

বুধবার (৩ জুলাই) তারাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিদ্দিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২ জুলাই) দিবাগত রাত ১১টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জের বরাতি সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশকে খবর দিলেও তারা দীর্ঘ সময় ঘটনাস্থলে না আসায় এলাকাবাসী রাত ১টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করেন।

আটক চোরেরা হলেন, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লালচাদপুর গ্রামের একরামুল হকের ছেলে মাইদুল ইসলাম (৩৬) ও আব্দুল মজিদের ছেলে রুবেল হোসেন (৩৮)।

পুলিশ বলছে, অন্য একটি সড়ক দুর্ঘটনায় টহল গাড়ি থাকায় বরাতি সেতুতে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। আটক চোর থানা হাজতে আছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের যমুনেশ্বরীর নদীর বরাতি সেতুর ওপর দিয়ে রংপুর বিভাগের ৮ জেলা ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচল করে। এই সেতুর পাশে থাকা পুরো সেতুটিতে কৃষকেরা ধান, ভুট্টা ফসল শুকান। পুরোনো সেতুতে রাখা ধান, ভুট্টা টাকার বিনিময়ে পাহাড়া দেন সেতু ঘেঁষা গ্রাম নদীরপারের বাসিন্দা কাছু মামুদ ও মকবুল হোসেন। রাত ১১টার দিকে তারা দুজনে নতুন সেতুতে নাট খোলার শব্দ পান। এরপর গ্রামবাসীকে বিষয়টি জানালে লোকজন ধাওয়া করে ওই দুই চোরকে আটক করেন। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। দুই ঘণ্টায় ঘটনাস্থলে পুলিশ না আসায় ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী চোরকে নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে রাত দেড়টার দিকে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে আটক দুই চোরকে জনতার কাছ থেকে থানায় নিয়ে যান।

থানা হাজতে আটক মাইদুল ইসলাম ও রুবেল হোসেন বলেন, আমাদের ডেকে এনে এ কাজ করানো হয়েছে। এখন বুঝতে পারছি, সেতুর নাট খোলা ঠিক হয়নি।

তারাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। একই মহাসড়কের অন্য আরেক জায়গায় একটি দুর্ঘটনা ঘটায় আহতদের উদ্ধারে পুলিশ থাকায় আটক চোরদের থানায় নিতে দেরি হয়েছে। ১১টি নাট ও একটি রেঞ্জ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর