অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থির করার জন্য কিছু দুর্বৃত্ত সবসময় সক্রিয় আছে বলে জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এখানে কেউ যদি কোনো মন্দির ভাঙে, এর পেছনে একটা ষড়যন্ত্র আছে। কেউ যদি মাজার ভাঙে, এর পেছনে একটা ষড়যন্ত্র আছে। কেউ যদি মসজিদ ভাঙে, এর পেছনে একটা ষড়যন্ত্র আছে। চোরের কোনো ধর্মপরিচয় নেই। দুর্বৃত্তের কোনো ধর্মপরিচয় নেই।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জামেয়া দারুল মাআরিফ আল-ইসলামিয়া মাদরাসায় উপদেষ্টা মহোদয়ের সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ হোসেন বলেন, আমরা বিতর্ক তৈরি হয় এমন কোনো কাজে হাত দেব না। আমাদের সময় কম। আমরা কতদিন আছি তা কেউ জানি না। আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা ও অর্থনীতি স্বাভাবিক হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজিয়ে আমরা একটা নির্বাচন দেব। জনগণ যাকে পছন্দ ভোট দেবেন। নির্বাচিত দলকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে আমরা বিদায় নেব। এটা করতে কতদিন লাগে তা আগেভাগে বলা মুশকিল।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ে হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্ট, খ্রিস্টান কল্যাণ ট্রাস্ট, ইমাম-মুয়াজ্জিন পরিষদ ট্রাস্ট আমার মন্ত্রণালয়ে কাজ করে। এই চারটি ট্রাস্টের পদাধিকার বলে আমি চেয়ারম্যান। হিন্দুদের জন্য বরাদ্দ আছে। এই বরাদ্দ তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া মন্ত্রী হিসাবে আমার রাষ্ট্রের দায়িত্ব। বিগত সরকারের আমলে দুর্গাপূজার ক্ষেত্রে দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হতো। আমরা তার একটা সামারি দিয়েছি। প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় চার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রত্যেক জেলার ডিসিদের মাধ্যমে এটা বিতরণ করব।
আল্লামা সুলতান জওক নদভীর সভাপতিত্বে উক্ত সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় ইসলামি ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক বোরহানুদ্দীন মোহাম্মদ আবু আহসান, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের কুরআনিক সাইন্স বিভাগের ডিন ড. মুস্তফা কামিল মাদানি, দারুল মাআরিফ আল-ইসলামিয়ার উপপরিচালক মাওলানা ফোরকানুল্লাহ খলীল, শিক্ষাসচিব মাওলানা শহিদুল্লাহ কাওসারসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।