বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, গ্যাসে প্রিপেইড মিটারের সিদ্ধান্ত আসতে সময় লেগেছে ৮ বছর। আমি যখন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেই তখন দেখলাম এই ফাইল চালাচালি হচ্ছে। কেউ প্রিপেইড লাগাতে চায় না। প্রিপেইডের অনেক দাম, লাগালে অনেক সময় লাগবে কত অজুহাত। রীতিমতো যুদ্ধ করে আমরা প্রিপেইড শুরু করলাম গ্যাসে।
শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে আয়োজিত এক কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন রাষ্ট্রায়ত্ব করপোরেশন ও কোম্পানিসমূহের উত্তম চর্চা অবহিতকরণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ বিষয়ক এ কর্মশালাটি আয়োজন করে গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
সরকারি কাজে দক্ষ লোকের চাহিদার কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিতাসসহ গ্যাসের গ্রাহক ৪০ লাখ। অথচ আমরা দুই বছরে প্রিপেইড মিটার লাগাতে পেরেছি মাত্র দেড় লাখ। বাকী ৩৮ লাখ লাগাতে তাহলে কত বছর লাগবে? দক্ষতাটা কোথায় হলো এখানে?
বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি বিভাগ ধীরে ধীরে স্মার্ট সিস্টেমের দিকে যাচ্ছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরাই একমাত্র মন্ত্রণালয় গত দুই বছর আগে এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার চালু করেছি। যেটা সব বিভাগের সঙ্গে একীভূত হয়ে কাজ করছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইনসহ সবকিছু স্মার্ট সিস্টেমে চলে আসবে।
নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বিপু বলেন, ৪০ লাখ মিটার আগামী দুই বছরে কিভাবে লাগাবো সেটা ভাবতে হবে। এই প্রিপেইড মিটার লাগালে আরও ৪০০ কোটি টাকা সঞ্চয় হবে প্রতিদিন। আর সেজন্য মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
এসময় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে অর্গানোগ্রাম আছে তার সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অর্গানোগ্রাম আবারও দেখে আসা দরকার।’
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম।