বাঘা, রাজশাহী থেকে: রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে কালাইয়ের রুটি অন্যতম। সারাবছর কালাইয়ের রুটি খাওয়া হলেও শীতকালে এর চাহিদা বাড়ে।
কিভাবে এ রুটি বানানো হয় জানতে চাইলে রাজশাহীর বাঘা থানার তেঁতুলতলার রুটি বিক্রেতা ফাহিমা জানান, চালের কিংবা গমের আটার সাথে পরিমাণ মতো কালাইয়ের আটা মিশিয়ে রুটি তৈরি করা হয়।
তিনি বলেন, পানি দিয়ে আটার গোল্লা বানিয়ে হাতে টিপে টিপে এ রুটি বানাতে হয়। এরপর মাটির খোলায় অল্প আঁচে রুটি সেঁকতে হয়। রুটি তৈরি হয়ে গেলে এটি বেগুন ভর্তা, পেঁয়াজ মরিচের ভর্তা কিংবা মাংসের ঝোল দিয়ে খাওয়া হয়।
রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে সারাবছর কালাইয়ের রুটি খাওয়া হলেও শীতকালে এর চাহিদা বাড়ে। কোন কোন দোকানে সারা বছর কালাইয়ের রুটি বানানো হলেও শীতকালে এ রুটির দোকানের সংখ্যা বেড়ে যায়।
বাসায় রুটি না বানানো হলে পুরুষেরা দলে দলে রুটির দোকানে ভিড় জমান। নিজ মহল্লায় রুটির দোকান না পেলে অনেক সময় তারা ৩/৪ কিলোমিটার দূরেও কালাইয়ের রুটি খেতে যান।
সকাল কিংবা রাতে এ রুটি খাওয়া হয়। দুপুরে সাধারণত এ রুটি খাওয়া হয় না। মহল্লা ভেদে রাত ১২টা ১টা পর্যন্ত বাজারে রুটির দোকানে ভিড় লেগে থাকে।
তেঁতুলতলায় রুটি খেতে আসা কবির জানান, তার মহল্লায় কালাইয়ের রুটির দোকান না থাকায় ৪ কি.মি. দূর থেকে তিনি এখানে রুটি খেতে এসেছেন। প্রায়ই রুটি খেতে আসেন তিনি।
আল আমিন নামে স্থানীয় এক ব্যাংকার জানান, প্রায় প্রতি সন্ধ্যায় তারা কয়েকজন মিলে এখানে রুটি খেতে আসেন।