চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে "বিয়ে বাড়ি চতুর্থ কালাই রুটি উৎসব" অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালার গ্র্যান্ড প্লাজায় এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি পৃথিবীর কোথাও এমন দেশ দেখিনি যেখানে একটি মাত্র খাবারের জন্য এত বড় আয়োজন করে উৎসব পালন করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুর্গম চরের একটি খাবার নিয়ে ঢাকায় উৎসবের আয়োজন করা দেখে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত।
তিনি আরো বলেন, এটি এমন আয়োজন যেখানে কোনো রাজনৈতিক ফায়দা নেই। তবুও আগ্রহ নিয়ে এতো মানুষ এই কালাইরুটি উৎসবে এসেছেন যা সত্যিই অনেক আনন্দের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী খাবার কালাই রুটি। ভোজন রসিকদের কাছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের যেমন তুলনা হয়না, তেমনি আরেকটি খাবার দারুণ জনপ্রিয়, তা হলো কালাই রুটি।
কালাই রুটি উৎসবের আয়োজকরা বলছেন, কালাই রুটির চাহিদা যে শুধুমাত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জে তা নয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকায় এর চাহিদা ব্যাপক। কালাই রুটির নাম শুনলেই আগ্রহের কমতি থাকে না কারো। বিশেষ করে শীতের সময়ে কালাই রুটি মানে অমৃত মনে করেন অনেকেই। পেঁয়াজ-মরিচ কিংবা বেগুনের ভর্তা দিয়ে কালাই রুটি খেতে দারুণ। সাধারণ খাবার হলেও এর স্বাদের তুলনা হয় না।
এবারের বিয়ে বাড়ি চতুর্থ কালাই রুটি উৎসব-২০১৯ এ গিয়ে দেখা যায়, কালাই রুটি বানানোর জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রসিদ্ধ কালাইয়ের আটা আর ওই অঞ্চলের দক্ষ কারিগর নিয়ে আসা হয়েছে। তারা বানাচ্ছেন এই রুটি। খাবারের আদি ঐতিহ্য রক্ষার কথা মাথায় রেখে চাঁপাইবাসীর জন্য এই আয়োজন করেছে ইম্প্যাক্ট পিআর।
কালাই রুটি উৎসবে আসা আলী আহসান বলেন, অনেকদিন পর একই ভাষাভাষী মানুষ এক জায়গায় হয়েছি। আমাদের আঞ্চলিক খাবার অনেক মজা করে খাচ্ছি এর থেকে আনন্দ আর ভালোলাগার কি হতে পারে।
কালাই রুটি উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডাক্তার সামিল উদ্দিন আহমেদ এবং কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।